ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে পরিচয় যাচাইয়ের দাবিতে পর্দানশীন নারীদের মানববন্ধন
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে পরিচয় যাচাইয়ের দাবিতে গুইমারা উপজেলায় পর্দানশীন নারীদের মানববন্ধন করেছে। চেহারার সাথে ছবি মিলিয়ে নয়, বরং ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে পরিচয় যাচাইয়ের দাবি এবং পর্দানশীন নারীদের নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত রাখার প্রতিবাদে জেলার গুইমারার হাতীমুড়ায় মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার(৪ঠা ফেব্রæয়ারি) সকালে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম প্রধান সড়কের হাতীমুড়া বাজারে “খাগড়াছড়ি জেলা পর্দানশীন নারী সমাজ” ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “শুধুমাত্র পর্দা পালনের কারণে পর্দানশীন নারীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। বিগত ১৬বছর ধরে অসংখ্য পর্দানশীন নারী নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত রয়েছেন, পাশাপাশি শিক্ষার ক্ষেত্রেও তাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। পরিচয় যাচাইয়ের জন্য জোরপূর্বক বেগানা পুরুষদের সামনে মুখ খুলতে বাধ্য করা হচ্ছে, যা তাদের ব্যক্তিগত অধিকার লঙ্ঘন করছে।” তারা চেহারার পরিবর্তে ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে পরিচয় যাচাইয়ের দাবি জানান।
বক্তারা আরও বলেন, “মুখচ্ছবির অজুহাতে পর্দানশীন নারীদের শিক্ষার অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে যেন, পর্দানশীন নারীরা বেপর্দা না হলে শিক্ষা লাভ করতে পারবে না। এটি সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। পর্দা করার কারণে নারীদের প্রতি বৈষম্য বন্ধ করা হোক।”
তারা আরও দাবি জানান, যারা বিগত ১৬বছর ধরে পর্দানশীন নারীদের নাগরিকত্ব আটকে রেখেছেন, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। ধর্মীয় স্বাধীনতা ও গোপনীয়তার অধিকার নিশ্চিত করে দ্রæুত এনআইডি প্রদান করতে হবে। পরিচয় শনাক্তকরণে পুরোনো ছবি-ভিত্তিক পদ্ধতি বাতিল করে আধুনিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাই ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করতে হবে। পাশাপাশি, পর্দানশীন নারীদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট গ্রহণের সময় শুধুমাত্র নারী সহকারী নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
মানববন্ধন শেষে পর্দানশীন নারীরা জেলা নির্বাচন কমিশনারের মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এই সময় এলাকার যেখানে শতাধিক মুসলিম নারী অংশগ্রহণ করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন