ফিলিস্তিনকে উপহাস করে করা কোকের বিজ্ঞাপন সকল প্রচার মাধ্যম থেকে প্রত্যাহার করতে হবে
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ ও সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম আজ এক যুক্ত বিবৃতিতে অসংখ্য নবীদের বিচরণ ভূমি ও মুসলমানদের প্রথম কিবলা মসজিদুল আকসার পবিত্র এলাকা ফিলিস্তিনকে উপহাস করে ‘ফিলিস্তিনেও কোকাকোলার ফ্যাক্টরী আছে’ মর্মে কোকাকোলা কর্তৃপক্ষ যে বিজ্ঞাপন করেছে তা অনতিবিলম্বে সকল প্রচার মাধ্যম থেকে প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছেন।
শুধু ইউটিউব থেকে প্রতাহার করলেই হবে না। কোন প্রচার মাধ্যমেই তা প্রচার করতে পারবে না। ফেইসবুক, ইউটিউবসহ সকল প্রচার মাধ্যম থেকে এই বিজ্ঞাপন সরাতে হবে।
একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কোকাকোলার ফ্যাক্টরি সারা পৃথিবীতেই থাকতে পারে। প্রশ্ন হচ্ছে কোকাকোলা বিক্রির লাভের পয়সা কোথায় যায়! মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করা হয়; নাকি মানুষ হত্যার কাজে ব্যবহার করা হয়?
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, বিজ্ঞাপনে তারা বলতে চেয়েছে যে, ফিলিস্তিনের ভূমিতেও কোকাকোলার ফ্যাক্টরি আছে। অথচ আমরা জানি যে, ফিলিস্তিনে কোকের ফ্যাক্টরিও তৈরি হয়েছে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করা জায়গায়। এসব বিষয় কিন্তু তারা বলে না। তারা এই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মুসলমানদের অনুভূতি নিয়ে খেলেছে, মজা করেছে। এ জন্য কোকাকোলা কোম্পানিকে মুসলিম বিশ্বের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, অবৈধ জারজ রাষ্ট্র ইসরাইল ফিলিস্তিনে বর্ববর হামলা করে নারী শিশুসহ সাধারণ নাগরিকদেরকে হত্যা করে গোরস্থানে পরিণত করছে। তখন বাংলাদেশে এ ধরণের বিজ্ঞাপন প্রচার মুসলিম হৃদয়ে রক্তক্ষরণ করে। বাংলাদেশের মতো মুসলিম অধ্যুষিত দেশে বসে কোকাকোলা কর্তৃপক্ষ সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য এই বিজ্ঞাপন তৈরি করেছে।
যা রীতিমত মজলুম ফিলিস্তিনীদের সাথে গাদ্দারীর নামান্তর। বাংলাদেশের যে সকল অভিনেতা এ বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেছে তাদেরকেও বাংলার মুসলমান বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে ইনশাআল্লাহ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন