ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে ইউরোপের যেসব দেশ

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল জানিয়েছেন, স্পেন ও আয়ারল্যান্ডসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি দেশ আগামী ২১ মে’র মধ্যেই ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি এ কথা জানিয়েছেন বলে খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জোসেপ বোরেল জানিয়েছেন, স্পেন, আয়ারল্যান্ডসহ আরও কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে। এ সময় তিনি স্লোভেনিয়ার নামও উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, এটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের প্রতীকী একটি কাজ। এটি (স্বীকৃতি) একটি রাষ্ট্রের রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকার ইচ্ছাকে স্বীকৃতি দেবে। এ সময় তিনি জানান, বেলজিয়ামও একই পথ অনুসরণ করতে পারে।

এর আগে স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসে ম্যানুয়েল আলবারেজ জানিয়েছিলেন, তার দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। যদিও তিনি সে সময় কোনো তথ্য দেননি। সে সময় স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার লক্ষ্যে স্পেন ও আয়ারল্যান্ড আনুষ্ঠানিক জোট বাঁধার ঘোষণা দেয়। এ ছাড়া নরওয়েও ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে।

তার আগে গত মার্চের শেষ সপ্তাহে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে এক বৈঠকের পর যৌথ ঘোষণায় ইউরোপের চার দেশ স্পেন, আয়ারল্যান্ড, স্লোভেনিয়া ও মাল্টার প্রধানমন্ত্রীরা জানান, তাদের দেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত। তারা সে সময় বলেন, যুদ্ধকবলিত এই অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের একমাত্র উপায় এটি।

সর্বশেষ গত ২৩ এপ্রিল মধ্য আমেরিকার ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশ জ্যামাইকা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। জ্যামাইকা সরকার জানায়, গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধ এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে তারা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এদিকে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাবটি গতকাল শুক্রবার সংস্থাটির সাধারণ পরিষদে বিপুল ভোটে পাস হয়েছে। এতে বাংলাদেশসহ ১৪৩টি দেশ ফিলিস্তিনের পক্ষে ভোট দিয়েছে।