ফিলিস্তিনিদের বিদ্যুৎ খাতে ১০ মিলিয়ন অর্থ দিল কাতার


কাতারের সহযোগিতায় বিদ্যুৎ সমস্যা অনেকটা নিরসন হতে যাচ্ছে ফিলিস্তিনের গাজার। ইসরাইল ও মিশর থেকে বিদ্যুৎ কিনে দিনে অল্পকয়েক ঘণ্টার জন্য নিজেদের চাহিদা মেটাতে পারবে গাজাবাসী।
কাতারের অর্থ সহায়তায় জ্বালানি ক্রয়ের মাধ্যমে সেটি আরো বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ জানায়, বিদ্যুতের জন্য ইসরাইলের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় গাজাবাসী প্রতিদিন মাত্র চার ঘণ্টার জন্য বিদ্যুৎ পায়। কাতারের জ্বালানি সরবরাহের কারণে এখন থেকে আট ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাবে তারা।
পত্রিকাটির খবরে বলা হয়, চলতি সপ্তাহে কাতারের সঙ্গে গাজার এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি হয়েছে। এ চুক্তির অধীনে কাতার থেকে ১০ মিলিয়ন ডলারের মতো অর্থ সহায়তা পাবে।
হামাস সরকারের অধীনে থাকে গাজার একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দীর্ঘদিন ধরে অকার্যকর থাকায় ভূখণ্ডে ৮০ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ করে ইসরাইল। এজন্য ইসরাইলকে প্রতি মাসে কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয় ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে।
যদিও হামাসের সঙ্গে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে রামাল্লার ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ সে অর্থ ইসরাইলকে পরিশোধ করে না। একইভাবে ইসরাইল এবং মিশর মিলে হামাসকে চাপে রাখতে অর্থ না পেলে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দেয়। এমনকি দিনে মাত্র দুই ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ পেত গাজাবাসী এমন নজিরও আছে।
প্রসঙ্গত, বিদ্যুতের অভাবে গাজার হাসপাতাল, বাড়িঘর, শিক্ষা এবং ব্যবসা-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান অকার্যকর হয়ে পড়ায় জানুয়ারিতে জাতিসংঘ ঘোষণা দিয়েছিল, কয়েক বছরের মধ্যে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে ফিলিস্তিনের শহরটি।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন