ফেনীর কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করলো পিয়ন!
বখাটে, দুর্বৃত্ত, সন্ত্রাসীরাই শুধু নয়, ধর্ষকের তালিকায় স্থান করে নিচ্ছেন শ্রদ্ধেয় শিক্ষকগণও! তবে এবার নতুন চমক দেখা গেল ফেনী সরকারি কলেজে। শিক্ষক বা সহপাঠী নয়, এবার কলেজের এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করছে ওই কলেজেরই এক পিয়ন।
লোকলজ্জার ভয়ে মাস খানেক ধরে মুখ বন্ধ করেছিলেন ওই ছাত্রী। কিন্তু উপায়ান্তর না দেখে অবশেষে বুধবার (৭ জুন) ফেনী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ওই ছাত্রী।
অভিযোগ পেয়ে কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের অফিস সহকারী (পিয়ন) বিজয় কৃষ্ণ দাসকে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে আটক করে ফেনী মডেল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন অধ্যক্ষ।
এ ঘটনায় ফেনী সরকারি জিয়া মহিলা কলেজের ছাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা গেছে। তারা কঠিন শাস্তি দাবি করেছেন ঘটনায় জড়িত পিয়নের।
পুলিশ ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গেল ৬ মে সরকারি জিয়া মহিলা কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ফেনী সরকারি কলেজে ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে বহিষ্কার হন। ওইদিন তাকে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়ে ফুঁসলিয়ে অধ্যক্ষ স্যারের কথা বলে ইংরেজী বিভাগের অফিস কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে পিয়ন বিজয়।
ঘটনার এক মাস পর ৭ জনু বুধবার সকালে ফেনী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ওই ছাত্রী। পরে কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ পুলিশ ডেকে বিজয়কে থানায় সোপর্দ করেন।
ফেনী সরকারি কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ফরিদ আলম ভূঞা জানান, ঘটনাটি শোনার পর বিজয়কে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছি।
ফেনী সরকারি জিয়া মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ফাতেমা আফরোজ জানান, এ ঘটনা খুবই নিন্দনীয়। ঘটনা সত্যি হলে কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। এছাড়া ছাত্রীদের আরো বেশি সতর্ক হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
এব্যাপারে ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদ খাঁন চৌধুরী জানান, ধর্ষণের অভিযোগে পিয়ন বিজয়কে আটক করা হয়েছে। ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা করলে বিস্তারিত জানা যাবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন