ফেরদৌসের নায়িকা যুক্তরাজ্যের সেলিন বেরান

নায়ক ফেরদৌসের নায়িকা হলেন যুক্তরাজ্যের সেলিন বেরান। ‘যদি একটু সময় পেতাম’ নামের সিনেমায় নায়ক ফেরদৌসের নায়িকা তিনি। নাম এক কথায় যুক্তরাজ্য থেকে উড়াল দিয়ে বাংলাদেশে চলে এলেন সেলিন বেরান। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে সিনেমার মহরতে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্যর এই অভিনেত্রী। মঞ্চে উপস্থিত অতিথিদের সামনে তাঁকে পরিচয় করিয়ে দেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস।

ফেরদৌস ও সেলিন বেরান গত বছরের অক্টোবরে ‘ইন পারসু অব লাভ-ভালোবাসার খোঁজে’ নামে একটি ছবির শুটিং শুরু করেছিলেন। কিছুদিন শুটিং হওয়ার পর ছবিটির কাজ বন্ধ হয়ে যায়। প্রথম ছবির শুটিং শেষ না হতেই আরেকটির কাজ শুরু করছেন ফেরদৌস ও যুক্তরাজ্যের সেলিন বেরান।

মহরত অনুষ্ঠান শেষে সেলিন জানালেন, তিনি এখন যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ড ও চেক প্রজাতন্ত্রে নিয়মিত কাজ করছেন। স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা আর গানের ভিডিওতে বেশি কাজ করা হচ্ছে তাঁর। হলিউডের ছবিতেও নাকি টুকটাক কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে।

ফেরদৌস ও সেলিন বেরান অভিনীত এবারের ছবি ‘যদি একটু সময় পেতাম’-এর পরিচালক গোলাম ফারুক। তিনি এর আগে ‘ইন পারসু অব লাভ-ভালোবাসার খোঁজে’ ছবিটিরও পরিচালক ছিলেন। কিছুদিন শুটিংয়ের পর প্রযোজক-সংক্রান্ত জটিলতায় সে ছবিটির কাজ থেমে যায়। এরপর যুক্তরাজ্যপ্রবাসী বাঙালিদের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফোর মোশন পিকচার্স ফেরদৌস ও সেলিনকে জুটি করে ‘যদি একটু সময় পেতাম’ ছবির কাজ শুরুর সিদ্ধান্ত নেন। এরই প্রক্রিয়া হিসেবে ঢাকায় ছবিটির মহরত অনুষ্ঠিত হয়।

ফেরদৌস ও সেলিনের নতুন এই ছবিটির কাজ এক দিনের জন্য (৩ ফেব্রুয়ারি) শনিবার এফডিসিতে করা হবে। গানের এই শুটিংয়ের পর ছবির বাকি কাজ আগামী মার্চ থেকে শুরু হবে যুক্তরাজ্যে। তেমনটাই বললেন ফেরদৌস।

ছবিটির কাজ করার কারণ প্রসঙ্গে সেলিন বলেন, ‘ফেরদৌস যখন আমাকে গল্পটা শোনায়, তখনই ভালো লাগে। মনে হয়েছে, এটা সাধারণ কোনো গল্প নয়। খুব মজার। তাই কাজটি করতে রাজি হই।’

‘যদি একটু সময় পেতাম’ প্রসঙ্গে ফেরদৌস বলেন, ‘নামের মধ্যেই কিন্তু একটা আক্ষেপ আছে। প্রবাসী এক প্রেমিক যুগলের জীবনের গল্প। ছোট ছোট সমস্যা ও মানবিকতার ব্যাপার তুলে ধরা হবে। অনেক চড়াই-উতরাই আছে। আপাতত এটুকুই…।’

‘যদি একটু সময় পেতাম’ ছবির কাহিনি, চিত্রনাট্য, সংলাপ ও পরিচালনায় গোলাম ফারুক। আগে কখনো সেলিন বেরানের বাংলাদেশে আসা হয়নি। মায়ের আদি নিবাস কলকাতায় হওয়াতে সেখানে হাতেগোনা কয়েকবার যাওয়া হয়েছে। ফেরদৌসের কথায় রাজি হয়ে তিনি বাংলাদেশে আসেন। বললেন, ‘ফেরদৌস খুবই চমৎকার মানুষ। ও এমনই একজন, যাকে বিশ্বাস করা যায়।