বংশের বাতি না আসায় মেয়েকে জঙ্গলে ফেলে দিলেন মা!
বংশে বাতি দেয়ার জন্য পুত্র সন্তান না হওয়ায় সদ্যোজাত দ্বিতীয় মেয়েকে জঙ্গলে ফেলে এসেছেন খোদ জন্মদাত্রী মা। আর এমন ন্যাক্কারজনক কাজে জন্মদাত্রী মাকে সহায়তা করেছেন তার নিজ মা!
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার এ ঘটনায় এখন অফলাইন ও অনলাইনে তুলেছে তুমুল ঝড়।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয়বার মেয়ে হওয়ার পর থেকেই মন খারাপ ছিল ওই মায়ের। তার উপরে ডাক্তারবাবুরা বলে দিয়েছেন, সদ্যোজাতের পায়ের টিউমার খারাপ দিকে গড়াতে পারে।
এ অবস্থায় ১০ জুলাই বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বন্ড দিয়ে শিশুকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান মা। পরে সুযোগ বুঝে রাতের অন্ধকারে সদ্যোজাত মেয়েকে জঙ্গলে ফেলে আসেন।
শ্বশুরবাড়ি ফিরে স্বামী-সহ সকলকে জানিয়ে দিয়েছিলেন মেয়ে মরে গিয়েছে।
তবে মেয়েটি মারা যায়নি। জঙ্গলের জন্তু-জানোয়ারেরাও তার ক্ষতি করেনি। পরে ১২ তারিখ ভোরে ওন্দার আমড়াতলা শাল জঙ্গলে ফল, কাঠ সংগ্রহে গিয়ে বাচ্চার কান্না শুনে ছোট্ট মেয়েটিকে উদ্ধার করেন কয়েকজন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার নারী।
পরে আবারও মেয়েটিকে বাঁকুড়া মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসক ও জেলা প্রশাসনের চেষ্টায় খুঁজে বের করা হয় মেয়েটির মা ও বাবাকে।
পরে প্রশাসনের লোকদের মা জানান, ‘ছেলে চেয়েছিলাম। আবার মেয়ে হল। তার উপরে অসুস্থ। সহ্য হচ্ছিল না। তাই ফেলে এসেছিলাম।’
ভারতে মেয়ে শিশুদের রক্ষায় কন্যাশ্রী, বেটি বাঁচাও-এর মতো রাজ্য ও কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্প চালু আছে। সেই সঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি প্রচারণায় মেয়েদের রক্ষায় কাজ চলছে। তবু হরহামেশাই মেয়ে ভ্রুণ ও শিশু হত্যার ঘটনা ঘটছে দেশটিতে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন