বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ স্বাধীনতার প্রথম উচ্চারণ

মাসুদ মোশাররফ, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে স্বাধীনতার প্রথম উচ্চারণ এবং স্বাধীনতার ভিত্তি রচনা হিসেবে উল্লেখ করেছেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম। তিনি আরও বলেন, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের পরেই বাঙালি জাতি পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীকে বিতারিত করার মাধ্যমে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে এবং পরবর্তীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর নেতৃত্বে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের সূচনা হয়। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে এক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। একই সাথে তিনি বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেম, আত্মদান, শোষিত মানুষের প্রতি মমত্ববোধ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদানের কথা তুলে ধরে তরুণ প্রজন্মকে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর আদর্শে অনুপ্রাণিত হওয়ার আহ্বান জানান।

সোমবার ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালন করেছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ। নানাবিধ আয়োজনের মধ্যে সকাল ১০ টায় শাহজাদপুর উপজেলা চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম। এরপর তিনি, ১৫ই আগষ্ট ঘাতকদের নির্মম বুলেটে সিলাই হয়ে যাওয়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদদের স্মরণ করে, মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে, জাতীয় চার নেতা এবং বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনে নিহত শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোঃ সোহরাব আলীসহ বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। এদিন বেলা ১১ টায় দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-১-এ সেমিনার এর আয়োজন করা হয়। সেমিনারে “৭ই মার্চ : বাংলাদেশের স্বাধীনতার ওঙ্কার” শিরোনাম দিয়ে বহুমাত্রিক আলোচনা করা হয়। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজমের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম।

অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নির্মমভাবে নিহত সকল শহীদ, মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনের শহীদ ও জাতীয় চার নেতাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘আজকের এই দিবসের গুরুত্ব জানার জন্য বঙ্গবন্ধুর কয়েক মিনিটের ভাষণ যদি শোনা যায় এবং ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণে যদি এটাকে উপস্থাপন করা যায় তাহলে আমার মনে হয় আর বেশি কিছু লাগে না। যে স্বাধীনতা আমরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পেয়েছিলাম ১৯৭১ সালে তারই মোক্ষম ঘোষণা ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দিয়েছিলেন। তিনি ১৯৫৪ সালের নির্বাচন, ১৯৬৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুকে মেইন ক্যাম্পেইনার হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
সেমিনার শেষে বিকাল ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি।