বঙ্গমাতার অবদান চিরস্মরণীয় করতে চালু হচ্ছে রাষ্ট্রীয় পদক
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে পদক দেবে সরকার। বঙ্গমাতার অবদান চিরস্মরণীয় করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় এই পদক চালু করা হচ্ছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার স্বীকৃতি দিতে এ পদক দেওয়া হবে।
রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা ও সংস্কৃতি, সমাজসেবা, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষণা এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্য যে কোনো ক্ষেত্রে প্রতি বছর পাঁচ জনকে এ পদক দেয়া হবে। তবে সরকার প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কোনো বছর উপযুক্ত প্রার্থী না পেলে পদক সংখ্যা কমে আসতে পারে।
পদকপ্রাপ্ত নারীদের ১৮ ক্যারেট মানের ৪০ গ্রাম স্বর্ণ দিয়ে নির্মিত পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা, ক্রসড চেকের মাধ্যমে চার লাখ টাকা এবং সম্মাননা সনদ দেওয়া হবে। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন এ-সংক্রান্ত বাছাই কমিটিতে ছয়জন সচিব ও একজন অতিরিক্ত সচিব থাকবেন। কমিটি যাচাই-বাছাই করে উপযুক্ত প্রার্থী নির্বাচিত করবে। এ লক্ষ্যে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পদক নীতিমালা-২০২০ প্রণয়ন করেছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়। প্রণীত নীতিমালা আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রশাসনিক উন্নয়ন-সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠোনো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী এবং তার রাজনৈতিক, সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে সর্বক্ষণের সহযোগী, অনুপ্রেরণাদানকারী মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেন। বঙ্গমাতা সমাজে অন্যায়, অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত রুখে দাঁড়িয়েছেন। মানুষের অজ্ঞতা, যুক্তিহীনতা, কুসংস্কার ইত্যাদি দূর করতে সোচ্চার ছিলেন তিনি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন