বন্যার্তদের জন্য মাথাপিছু বরাদ্দ এক কেজি চাল ও তিন টাকা!
দিনাজপুরে বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও বাড়ছে বানভাসী মানুষের দুর্ভোগ। গৃহহীন হয়ে পড়া এসব বানভাসী মানুষ এখন বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকটে ভুগছেন। সরকারি হিসাব অনুযায়ী বন্যায় প্রায় পৌনে পাঁচ লাখ মানুষ গৃহহীন হলেও বরাদ্দ এসেছে ৪৮৫ মেট্রিক টন চাল ও ১৬ লাখ টাকা। এতে জনপ্রতি ভাগ্যে জুটেছে ১ কেজি করে চাল ও ৩ টাকা।
দিনাজপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. মোখলেসুর রহমান জানিয়েছেন, বন্যা দুর্গত মানুষের মধ্যে ইতোমধ্যেই ৪৮৫ মেট্রিক টন চাল ও ১৬ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
সরকারি বরাদ্দ ছাড়াও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় ১৫ লাখ টাকা, দুইশ মেট্রিক টন চাল এবং সাড়ে তিন হাজার প্যাকেট (চিড়া, গুঁড়, মুড়ি, বিস্কুট) শুকনো খাবার বন্যাদুর্গত এলাকায় বিতরণ করেছেন।
এদিকে বন্যার কারণে বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দেয়ায় পেটের পীড়াসহ বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে বানভাসী মনুষের। এজন্য স্থানীয় প্রশাসন ১২৫টি স্বাস্থ্য ক্যাম্প খুলেছে। এছাড়া জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিমের ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় আরও ১২০টি মেডিকেল টিম বাসভাসী মানুষের চিকিৎসা সেবা দিতে কাজ করছে। দুর্গতদের মাঝে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, খাবার স্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়াও সেনাবাহিনী এবং বিজিবিও বানভাসী বিনামূল্যে চিকিৎসা দিচ্ছে।
বানভাসী মানুষের আশ্রয়ের জন্য দিনাজপুরের ২৬৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১৬৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
তলিয়ে থাকা জেলার অধিকাংশ সড়ক ও মহাসড়ক থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। এসব সড়কের অধিকাংশ স্থান ভেঙে যাওয়ায় যান চলাচলের জন্য সেগুলো অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এর ফলে দিনাজপুর জেলার সঙ্গে বিভিন্ন উপজেলাসহ ঢাকার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। রেললাইন ডুবে যাওয়ায় পার্বতীপুর-পঞ্চগড় রেল যোগাযোগ ছয় দিন ধরে বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন