বন্যায় দিনাজপুর ও জামালপুরে আরও ৫ জনের মৃত্যু
দেশে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বন্যায় মঙ্গলবার দিনাজপুর ও জামালপুরে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার দিনাজপুর সদর, পার্বতীপুর ও বিরল উপজেলায় চারজন ও জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় বন্যা জনিত কারণে একজনের মৃত্যু হয়।
দিনাজপুর প্রতিনিধি জানান, জেলায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। একটি নদী বিপদসীমার কিছুটা নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও সব নদীর পানি এখনও বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যায় দিনাজপুর জেলায় মঙ্গলবার মারা গেছে আরও চারজন। তারা হলেন- পার্বতীপুর উপজেলার নামাপাগড়া গ্রামের আতাবুর রহমান (৫৫), দিনাজপুর সদর উপজেলার সুইহারী রহমান পাড়ার আজাদ মিয়ার ছেলে হুময়ুন আহমেদ (১৬), বিরল উপজেলার গড়বাড়ী গ্রামের মৃত সুরাই মুর্মুর মেয়ে মালিয়া মুর্মু (৫৯) এবং একই উপজেলার ভূমিগড় গ্রামের আফসার আলীর ছেলে মাসুদুর রহমান (১৫)।
এ নিয়ে দিনাজপুরে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২২ জনে। এর আগে গত শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত দিনাজপুরে বন্যায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড-এর নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুর রহমান জানান, দিনাজপুরের পুনর্ভবা নদীর পানি বিপদসীমার দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার, আত্রাই নদীর পানি দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ইছামতি নদীর পানি কিছুটা কমে বিপদসীমার দশমিক ৪১ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জামালপুর প্রতিনিধি জানান, জেলার বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনার পানি বাহাদুরাবাদঘাট পয়েন্টে ১৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৩২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যায় জেলার অন্তত সাড়ে পাঁচ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়েছে।
মঙ্গলবার মেলান্দহের কুলিয় সুইস গেটে পানিতে ডুবে মো. কমল (১৭) নামে এক কলেজ ছাত্র মারা গেছে। কমল মেলান্দহের টনকী গ্রামের টাবু শেখের পুত্র।
জামালপুরের জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর জানান, জেলার বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের জন্য ১২৮ মেট্রিক টন চাল, দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা ও দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন বন্যার্তদের পাশে থেকে রাতদিন কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন