বর্ষবরণ : দেশজুড়ে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
আর মাত্র এক দিন বাকি। এরপরই বাংলা পঞ্জিকায় যোগ হবে নতুন একটি বছর। কাল কেবল নতুন সূর্য নতুন দিনই নয়, নিয়ে আসবে নতুন বছর ১৪২৫। বাঙালি মেতে উঠবে প্রাণের উৎসবে। ভোর থেকে শুরু হবে আনুষ্ঠানিকতা, চলবে দিনভর।
নববর্ষকে বরণ করতে সারাদেশের মতো প্রস্তুত রাজধানীও। এজন্য দেশজুড়ে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। প্রস্তুত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা ইনস্টিটিউট, ফ্যাশন হাউস, রেস্তোরাঁ, মৃৎশিল্পের দোকান, শিশুপার্কসহ বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্র। চারদিকে বর্ষবরণ উৎসবের আমেজ চলছে।
বর্ষবরণে দেশের সবচেয়ে বড় আয়োজনটা থাকে রমনা বটমূলে। গানে গানে নতুন বছরকে আমন্ত্রণ জানায় ছায়ানট। নববর্ষ বরণের জন্য শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে রমনা বটমূলে। ছায়ানটের টানা ৫১তম অনুষ্ঠান করতে তৈরি হচ্ছে মঞ্চ। শনিবার ভোরে সুরে সুরে নতুন বছরের প্রথম দিনটিকে সম্ভাষণ জানানো হবে এখানে। এতে উপস্থিত থাকবে হাজার হাজার মানুষ।
এছাড়া সকাল নয়টায় দিকে বের হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা। পরিকল্পনা অনুযায়ী এ শোভাযাত্রা চারুকলা থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ মোড়, শিশু একাডেমী দিয়ে ঘুরে টিএসসি চত্বর দিয়ে আবার চারুকলায় গিয়ে শেষ হবে।
মঙ্গল শোভাযাত্রা সফল করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা। শেষবারের মতো রং তুলি বুলিয়ে নিচ্ছেন শিল্পকর্মে নিয়োজিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। কেউ রঙিন কাগজ লাগাচ্ছেন, আবার কেউ মাটির ভাস্কর্যকে নতুন করে ফুটিয়ে তুলতে ব্যস্ত রয়েছেন। জেলে, হাতি, সাইকেল, পুতুল, বক ও মাছ, মহিষ, সূর্য, মা পাখি, রাজা রানি, পুতুলসহ দশেরও অধিক পুতুল ও ভাস্কর্য নিয়ে এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হবে বলে জানা গেছে।
নিরাপত্তার কড়াকড়ি
বর্ষবরণের দিনে রাজধানীজুড়ে নিরাপত্তা থাকবে কঠোর। রমনা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা থাকবে জোরালো।
ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া গতকাল জানিয়েছেন, নববর্ষকে ঘিরে গোটা রাজধানী কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ বিভিন্ন পয়েন্টে কড়া নিরাপত্তা থাকবে। পুলিশের পোশাকে এবং সাদা পোশাকে নিরাপত্তকর্মীরা উপস্থিত থাকবেন। নিরাপত্তার অংশ হিসেবে ডগস্কয়াড এবং বোমা ডিসপোজাল টিম থাকবে। পুরো ভেন্যু সিসি টিভি দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা হবে।
রমনার বটমূলে সকালে ছায়ানটের অনুষ্ঠানে আর্চওয়ে দিয়ে তল্লাশি করে ভেতরে মানুষকে প্রবেশ করানো হবে। মঙ্গল শোভাযাত্রায়ও পুলিশ প্রহরা। মাঝপথে কেউ শোভাযাত্রায় প্রবেশ করতে পারবে না। কেউ মুখোশ পড়তে পারবে না। আর যারা মুখোশ ব্যবহার করবেন তাদের একটি তালিকা দেবে চারুকলা ইনিস্টিটিউট থেকে। এছাড়া কেউ কোনো বাণিজ্যিক ব্যানার দিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নিতে পারবেন না।
রমনা পার্কে তিনটি প্রবেশ এবং তিনটি বাইরের গেট থাকবে। সকালে মানুষের চাপ থাকলে প্রবেশ গেটেও বাহির গেট হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
বিকাল পাঁচটার মধ্যে উন্মক্তস্থানে কর্মসূচি শেষ করতে হবে। সম্মিলিত সাস্কৃতিক জোট সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে তাদের অনুষ্ঠান শেষ করবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন