বাংলাদেশকে ৭২ মিলিয়ন ডলার আর্থিক অনুদান দেবে চীন

সেতু নির্মাণের মতো অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশকে ৭২ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা দেবে চীন। দু’দেশের মধ্যে আর্থিক ও কৌশলগত সহযোগিতামূলক চুক্তির আওতায় এই অর্থ অনুদান দেয়া হচ্ছে। খবর এশিয়া টাইমসের।

বরাদ্দকৃত অর্থ বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যবহার করা হবে। গত ২০ জানুয়ারি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এর সচিব মনোয়ার আহমেদ ও চীনের রাষ্ট্রদূত জ্যাং জুর মধ্যে ঢাকায় এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদ বলেন, চীনের সঙ্গে আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ চীন বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বাণিজ্যিক অংশীদার।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় চীন পোকিস্তানকে সহযোগিতা করে। এমনকি ১৯৭৫ সালের আগে তারা বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্কও স্থাপন করেনি। তবে এর পর থেকে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমেই জোরদার হয়েছে।

২০১৩ সালে ওয়ান বেল্ট ওয়ান ওয়ে নীতি গ্রহণ করার পর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ঘোষণা করেন, ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ক নতুন এক যুগে পৌঁছেছে। ইউনান ও অন্য স্থলসীমাবেষ্টিত প্রদেশগুলোর সঙ্গে ভারত মহাসাগরের সংযোগ স্থাপনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার মনে করে চীন।

কিন্তু নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ থেকে শিক্ষা নিয়ে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে বাংলাদেশ বেশ সচেতন। বেইজিং এর কোনো ঋণের ফাঁদে পড়তে চায় না বাংলাদেশ। তাই বড় অবকাঠামোগত উন্নয়নমূলক প্রকল্পে চীনা ঋণের পরিবর্তে বাংলাদেশ নিজস্ব সম্পদের উপর নির্ভর করতে চায়।

একইসঙ্গে বাংলাদেশ এশিয়ার দুটি মিত্র ভারত ও চীনের সঙ্গে একটা ভারসাম্যমূলক পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করতে চায়।