বাংলাদেশিদের হাতের ছোঁয়ায় মরুভূমি এখন কৃষি নগরী!
প্রবাসের মাটিতেও বাংলাদেশিদের কৃষি সাফল্য-সুনাম কুড়িয়েছে সর্বত্র। বাংলাদেশের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর রয়েছে কৃষির প্রতি টান। রয়েছে মাটির প্রতি অন্যরকম মমতা। এ সত্য বারবারই প্রমাণিত হয় পৃথিবীর দেশে দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কৃষি সাফল্যের মধ্য দিয়ে।
সৌদি আরবের মদিনা থেকে উত্তর দিকে ১৪ কিলোমিটার দূরে হাইয়াল আল জাহরা নামক এলাকাটি বাংলাদেশিদের হাতের ছোঁয়ায় পরিণত হয়েছে কৃষি নগরীতে। একেবারেই নিষ্ফলা বালি ও কাঁকরময় মরুভূমিকে পরিণত করছেন ফসল উৎপাদনের উপযোগী ক্ষেত্র হিসেবে। সেখানে সবচেয়ে বড় কৃষি খামারটি পরিচালনা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর শাহপুর গ্রামের মোহাম্মদ কবির হোসেন।
অনাবাদি, পতিত ও বালি-কাঁকর মেশানো যেমন মাটিই হোক অথবা আবাদি ভূমির ব্যবস্থা না থাকলেও জৈব উপাদান ব্যবহার করে তাতে ফল, ফুল, সবজি ফলিয়ে দেখিয়ে দিতে পারেন একজন বাংলাদেশি। ওই স্হানে প্রায় এক বর্গকিলোমিটার আয়তনের খামারে আলো, তাপ, পানি সরবরাহ নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় চলছে ওই খামারগুলো।
উৎপাদন হচ্ছে বিভিন্ন রকম ফুল ও ঔষধি গাছ। মোহাম্মদ কবির হোসেন তার নিজস্ব বুদ্ধি ও কৌশলকে কাজে লাগিয়ে আরবের মরুভূমিকে ফুলের বাগান করে চলেছেন।
একশ প্রজাতির ফুল ও ঔষধি গাছ রয়েছে এই বাগানে। ১৩ শ্রমিক কাজ করেন এখানে। বিভিন্ন দেশ থেকে ঔষধি ও ফুলের গাছের চারা নিয়ে এসে কলাপ করার পরে দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে বিক্রয় উপযোগী হলে সৌদি আরবের বিভিন্ন প্রদেশে বিক্রি করেন।মোহাম্মদ কবির হোসেনের এ উদ্যোগকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ থেকে এই সরকারিভাবে হজে আসা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব আশরাফ হোসেন, অ্যাডিশনাল ডিআইজি মিজানুর রহমান ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব আব্দুল্লাহ আরিফ মোহাম্মদ।
দেশ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষ শ্রমিক নিয়ে আসতে পারলে দেশের রেমিট্যান্স বাড়ানোর পাশাপাশি বাংলাদেশি কৃষি খামারগুলোতে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে মনে করছেন সৌদি আরবে অবস্থানরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন