বাংলাদেশ দূতাবাস, উজবেকিস্তানে বিজয় দিবস ২০২৩ উদযাপন
বাংলাদেশ দূতাবাস, উজবেকিস্তান আজ (১৬ ডিসেম্বর ২০২৩) যথাযথ মর্যাদা ও আনন্দ-উল্লাসের সাথে মহান বিজয় দিবস ২০২৩ উদযাপন করে। এ উপলক্ষে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম দ্বারা দূতাবাস প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচীর সূচনা হয়।
এরপর দূতাবাসের কর্মকর্তা ও তাসখন্দে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রদূত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ দিবস উপলক্ষে প্রেরিত মহামান্য রাষ্ট্রপতি,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদ সদস্য এবং মক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও সমৃ্দ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
একই দিন বিকালে দূতাবাসে উজবেক শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী, গবেষক এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের অংশগ্রহণে “আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব” শীর্ষক একটি গোল টেবিল আলোচনার আয়োজন করা হয়।
রাষ্ট্রদূত ড. ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে, স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেন। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাফল্য গাথা, বিশেষ করে দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি শান্তি ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন ও স্বীকৃতির উপর আলোকপাত করেন।
বাংলাদেশ-উজবেকিস্তান সম্পর্কের বিষয়ে তিনি জোর দিয়ে বলেন যে বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের জনগণের মধ্যকার গভীর বন্ধুত্বের মূলে রয়েছে ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় বন্ধন এবং উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য প্রচেষ্টা, প্রত্যয় ও প্রতিশ্রুতি। বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ সহ নানা ইস্যুতে অর্থপূর্ণ সহযোগিতা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে এই দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের অপার সম্ভাবনা রয়েছে বলে রাষ্ট্রদূত যোগ করেন।
ড. ইসলাম এই দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানের অংশগ্রহণকারীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাষ্ট্রদূতের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করে, গোলটেবিল আলোচনাকে একটি প্রাণবন্ত এবং ফলপ্রসূ মিথস্ক্রিয়ায় পরিণত করে।
এ দিন সন্ধ্যায় দূতাবাসে একটি মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা মঞ্চস্থ হয়। স্বনামধন্য উজবেক শিল্পীদের দ্বারা বাংলাদেশী দেশাত্মবোধক এবং জনপ্রিয় সঙ্গীত, নৃত্য এবং কবিতা পরিবেশন করা হয়, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের সংস্কৃতির সৌন্দর্য এবং বৈচিত্র্যতা নান্দনিকভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আমন্ত্রিত অতিথি, যার মধ্যে উজবেকিস্তানের সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, সাংস্কৃতিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং তাসখন্দ ভিত্তিক বিদেশী কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন। তারা সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন এবং এর ভূয়সী প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার দ্বারা আমন্ত্রিত অতিথিদের আপ্যায়ন করার মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন