বাংলামোটরে নতুন ভোগান্তি উড়ালসড়ক!
গাড়ির চাপ কমার পরিবর্তে উল্টো বেড়েছে। সিগন্যালে গাড়িও আটকে রাখতে হচ্ছে দীর্ঘক্ষণ। ট্রাফিক পুলিশ বলছে, রাজধানীর মগবাজার-মৌচাক উড়ালসড়কের কারণে বাংলামোটর ও কাকরাইলে যানজট আগের চেয়ে বেড়েছে।
গত ২৬ অক্টোবর মগবাজার-মৌচাক উড়াল সড়কটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। উড়ালসড়কটি উদ্বোধনের সময়ই স্থানীয় লোকজন ও ওই পথে চলাচলকারী যাত্রীরা যানজট বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করেছিলেন। গতকাল সোমবার গিয়ে দেখা যায়, বাংলামোটরে যেখানে উড়ালসড়ক শেষ হয়েছে, সেখানেই যানবাহনের জট। সেখানে কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট বলেন, ‘এটা ভিআইপি রোড। এখানে রাস্তাটা সব সময় সচল রাখতে হয়। আগে মৌচাক-মগবাজারের দিক থেকে অল্প কিছু গাড়ি আসত। কিন্তু ফ্লাইওভার চালুর পর গাড়ির চাপ বেড়ে গেছে। গাড়ি দীর্ঘসময় আটকে থাকে।’ তিনি আরও বলেন, প্রায়ই উড়ালসড়কের যানজট মৌচাক ছাড়িয়ে যায়। তাঁরা হিমশিম খাচ্ছেন এ পয়েন্টের যানজট সামলাতে।
বাংলামোটরে গাড়ির যন্ত্রাংশের দোকানি কাদের হোসেন বলেন, ‘উড়ালসড়ক হওয়ার আগে কেউ বুঝতে পারেনি কী সমস্যা হতে পারে। এখানে বাংলামোটর ও সোনারগাঁ লিংক রোডে প্রচুর রিকশা চলাচল করে। এমনিতেই যানজট লেগে থাকে।’
স্থানীয় কয়েকজন বলেন, শাহবাগ, সার্ক ফোয়ারা মোড়ের বেশির ভাগ সময়েই বড় বড় সিগন্যাল পড়ে। বাংলামোটরে এখন উড়ালসড়কের এক মাথা নেমেছে। বেড়েছে গাড়ির সংখ্যাও। অফিস সময়ে এখানে যানজট পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়। যানজট উড়ালসড়কের ওপরেও হয়। এ ছাড়া নিচে দুপাশে অসংখ্য গাড়ির যন্ত্রাংশের দোকান রয়েছে। সেখানে মেরামতের জন্য থাকা গাড়িগুলোও সড়কের অনেকটা দখল করে থাকে।
কাকরাইল মোড়ের অবস্থা এতটা তীব্র না হলেও সেখানে উড়ালসড়কের কারণে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ মো. শফিউল্লাহ বলেন, এ সড়কে অনেক রুটের বাস চলে। উড়ালসড়ক হওয়ায় ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে।
ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের রমনা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আলাউদ্দিন বলেন, বাংলামোটরে যানবাহনের চাপ দু-তিন গুণ বেড়েছে। মতিঝিল থেকে মিরপুর, গাবতলী, উত্তরামুখী যানবাহন এখন শান্তিনগর বা রাজারবাগ থেকে উড়ালসড়কে উঠে যায়। এই যানবাহন পরে সব বাংলামোটরে এসে ভিড় জমায়। তখনই জট লাগে।
ট্রাফিক বিভাগের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ সব সময় ব্যস্ত থাকে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের চলাচল হলে তখন আরও হিমশিম খান। তবে বললেন, বাংলামোটর বাদে উড়ালসড়কের অন্য মোড়গুলোতে যানজট খুব একটা হচ্ছে না। আলাউদ্দিন বলেন, বাংলামোটরের অবস্থা সম্পর্কে তাঁরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন। রিকশা চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হতে পারে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন