বাইসাইকেলে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু স্থানে গেলেন অনিক
বাইসাইকেল চালিয়ে সমুদ্রপৃষ্টের শূন্য থেকে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচুস্থান (১৮ হাজার ৩৮০ ফুট) খারদুংলা জয় করেছেন মৌলভীবাজারের ছেলে রাজিব দে অনিক। সিলেট বিভাগের মধ্যে তার এই অর্জন প্রথম। মৌলভীবাজার সাইক্লিং কমিউনিটির রাজীব দে অনিক বাইসাইকেল যোগে এক বিস্ময়কর অভিযানে বের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মৌলভীবাজারবাসীর জন্য নিয়ে এসেছেন গৌরবান্বিত অর্জন।
‘সী টু সামিট হিমালয়ান সাইকেল এক্সপেডিশন’ নামের এই যাত্রা চলতি বছরের ১৭ জুন কক্সবাজারের টেকনাফের শাহ্পরীর দ্বীপের সমুদ্রপৃষ্টের ০ (শূন্য) ফিট থেকে মৌলভীবাজার সাইক্লিং কমিউনিটির রাজীব দে অনিক, গাজীপুর সাইকেল রাইডার্সের কাজী শরীফ ও জাহাঙ্গীরনগর সাইক্লিং ক্লাবের তোজ্জাম্মেল হোসেন মিলন যাত্রা শুরু করে।
রাজীব দে অনিক জানান, বাইসাইকেল চালিয়ে দেশের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ী ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন তারা। পরে ভারতের নয়টি প্রদেশ (পশ্চিম বঙ্গ, বিহার, ঝাড়খন্ড, উত্তর প্রদেশ, দিল্লী, চন্ডিগড়, পাঞ্জাব, হিমাচল ও জুম্মু কাশ্মির) ঘুরে ৬১ দিনে ৫ হাজার ১১২ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে গত ১৭ আগস্ট পৌঁছান বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু যানবাহন চলাচলের রাস্তা খারদুংলা পাস-এ। দলগতভাবে বাংলাদেশ থেকে বীরত্বপূর্ণ অর্জন এই তিনজনেরই প্রথম।
সিলেট বিভাগ থেকে রাজীব দে অনিক প্রথম সাইক্লিস্ট, যিনি ১৮ হাজার ৩৮০ ফুট উপরে বাইসাইকেল চালিয়ে বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছেন। এতে, বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন, ভারতের বাংলাদেশ হাই-কমিশন ও ভারতীয় হোম অফিস থেকে অনুমতি নিতে হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১১ মার্চ মৌলভীবাজার সাইক্লিং কমিউনিটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে সাইক্লিং এর মাধ্যমে মৌলভীবাজারের জন্য অনেক অর্জন বয়ে আনে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য, মাত্র ২৩ দিনে দেশের ৬৪টি জেলা ভ্রমণ করে। এছাড়াও দেশের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত টেকনাফ-তেঁতুলিয়া, ভোমরা-তামাবিল, হালুয়াঘাট–কুয়াকাটা ভ্রমণ করেছে তারা। মাদক, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, যৌতুক ও বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধিতে তারা ভ্রমণে বের হন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন