বাগেরহাটের শরণখোলায় অভিমান করে কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2023/05/picture-25.05.23.jpg)
বাবা মা বকাঝকা করায় অভিমান করে বিষ পানে আত্মহত্যা করেছে শরণখোলা উপজেলার মাতৃভাষা ডিগ্রী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী উর্মি আক্তার(১৮)। ঘটনাটি ঘটেছে গত (২৪ মে) রাত সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের ধানসাগর গ্রামে। শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের ২ নাম্বার ওয়ার্ডের ধানসাগর গ্রামের বাবুল হাওলাদারের কন্যা উর্মি আক্তার। উর্মি মাতৃভাষা ডিগ্রী কলেজে দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়াশোনা করে। গত ২৪ মে দুপুরে টেষ্ট পরীক্ষা শেষে কলেজ থেকে বাসায় পৌছার পর সন্ধ্যায় পড়তে বসতে বলায় সে পড়তে না বসলে তখন বাবা-মা তাকে বকাঝকা করে। এক পর্যায়ে তার বাবা-মা তাকে জানায় পড়াশুনা না করলে চট্টগ্রামে গার্মেন্টসে চাকরি করতে যাও।
এতে অভিমান করে রাত সাড়ে ৭ টার দিকে ঘরে রাখা বিষ পান করে। এ সময় তার আত্ম চিৎকারে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে গুরুতার অসুস্থ অবস্থায় ওই রাতেই শরণখেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ভর্তি করে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে কর্তব্যরত চিকিৎসক। গতকাল রাত ১২টায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মেয়ের চাচা।
ধানসাগর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আবুল কালাম বলেন, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। উর্মি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন বলে তিনি শুনেছেন। তবে মেয়ের বাবা-মা খুলনায় থাকায় তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ইসরাত জাহান বলেন, যখন তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয় তখন তার অবস্থা খুবই গুরুতর ছিল। ধারনা করা হচ্ছে হাসাপাতালে আনার অনেক আগেই উর্মি বিষ খেয়েছে তাই প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
মাতৃভাষা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আহসান হাবীব বলেন, উর্মি ২৪মে বুধবার টেস্ট পরীক্ষা দিয়ে বাড়িতে গিয়েছে তারপরে রাতে বিষ পান করার বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তবে কি জন্য বিষপান করেছেন তা জানেন না বলে তিনি জানান।।
এ ব্যাপারে থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইকরাম হোসেন জানান, তিনি বিষয়টি জানেন না। তবে খোঁজখবর নিবেন বলে জানান।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন