বাগেরহাটের শরণখোলায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন

বাগেরহাটের শরণখোলায় যৌতুকের দাবিতে বখাটে স্বামী হেলাল শরিফ তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৩২)কে বেধড়ক মারধোর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

রবিবার (২৬ মার্চ) উপজেলার উত্তর আমড়াগাছিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত নুরজাহান বেগম শরণখোলা হাসপাতালে
চিকিৎসাধীন।

ভুক্তভোগীর অভিযোগে জানা যায় গত ২০১০ সালে ইসলামী শরীয়া মতে উপজেলার দক্ষিন বাধাল গ্রামে মোঃ আঃ সালাম শরিফের পুত্র হেলাল শরিফের সাথে উত্তর আমড়াগাছিয়া গ্রামের মৃত আকাব্বর আলী হাওলাদারের কন্যা নুরজাহান বেগমের সাথে বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য প্রায়ই মারধর করত। স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে গার্মেন্টেস-এ চাকরি নেয় নুরজাহান। কয়েক বছর চাকরি করে প্রায় দুই লক্ষ টাকা তার স্বামীকে দেয়।

গত ২০ মার্চ আবারো টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। টাকা দিতে না পারায় হেলাল তার স্ত্রীকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়ে ঘরে তালা লাগিয়ে দেয়। পরে নুরজাহান তার বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। গত ২৬ মার্চ সকাল ৮টার দিকে নুরজাহানের বাবার বাড়িতে পৌছে হেলাল টাকা দিতে হবে এই বলে গালমন্দ শুরু করে। কথার কাটাকাটির একপর্যায়ে নুরজাহানেরকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে হেলাল। পরে আত্মীয় স্বজনের সহযোগীতায় শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয় তাঁকে। নুরজাহান আরোও জানায়, তার স্বামী প্রতিমাসে ২/৩ বার তার স্পর্শকাতর যায়গায় মারধোর করে যাতে ঐ যায়গা কাউকে দেখাতে না পারে। এমনকি যৌতুকের দাবি পূরণ না করলে খুন জখমের হুমকি দেয় হেলাল।

এঘটনায় নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান
মাইনুল ইসলাম টিপুর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ ব্যাপারে ধানসাগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাইনুল ইসলাম টিপু বলেন, নুরজাহান বেগমের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সুস্থ হলে শালিস ব্যবস্থার মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা করা হবে।

এ ব্যাপারে হেলাল শরিফে সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি যৌতুকের দাবি অস্বীকার করে বলেন, সামান্য হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে এছাড়া আর কিছু নয়।