বাজারে শীতের সবজি, ডাবল সেঞ্চুরির পথে পেঁয়াজ

সপ্তাহের ব্যবধানে সারা দেশের পাশাপাশি রাজধানীর বাজারে বেড়েছে সব ধরনের শীতের সবজির সরবরাহ। কিন্তু দামের উত্তাপ কমছেই না।

তবে বাজার ভেদে দামের তারতম্য বেশি লক্ষ্যণীয়।

গত সপ্তাহের তুলনায় পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা প্রতি কেজি। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা প্রতি কেজি।

পেঁয়াজের সাথে সাথে দাম বেড়েছে আলুরও। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। আর নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়।

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মহাখালী ও ডেমরার সারুলিয়া বাজার ঘুরে এ দাম জানা যায়।
প্রায় একই চিত্র দেশের জেলা-উপজেলার বেশির ভাগ বাজারেও।

ইতোমধ্যে শীতের সবজি বাজারে প্রচুর পরিমাণে উঠেছে। প্রতিটি দোকানেই শোভা পাচ্ছে শীতের সবজি।
তবুও এক সপ্তাহের ব্যবধানে শিম ও গাজরের দাম ৪০ টাকা বেড়ে যথাক্রমে ১৮০ ও ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে শিম ও গাজরের কেজি ছিল যথাক্রমে ১৪০ ও ১২০ টাকা। প্রতি কেজি লম্বা বেগুন ৮০ টাকা ও গোল বেগুন (সাদা) বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭০ টাকা। ছোট বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ছোট ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, প্রতি কেজি মুলা ৫০ টাকা ও কচুরমুখী ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির ডিমের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও বেড়েছে হাঁসের ডিমের দাম। প্রতি ডজন মুরগির ডিম (লাল) বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। হাঁসের ডিমের দাম বেড়ে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা হয়েছে।

বাজার করতে আসা কয়েকজন বলেন, ১ টাকাও আয় বাড়েনি। কিন্তু খরচ বেড়েছে অনেক বেশি। আগে সংসারে ২ কেজি সবজির চাহিদা ছিল। এখন বাধ্য হয়ে ১ কেজিতেই চাহিদা পূরণ করতে হচ্ছে।

এক খুচরা বিক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, কোল্ড স্টোরেজে প্রচুর পরিমাণে আলু মজুদ আছে। তবুও কেন দাম বাড়ছে। সরকার কেন বড় বড় ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না।