বান্ধবীর সঙ্গে বাড়িও খোয়ালেন ম্যারাডোনা!
দুজনের বয়সের পার্থক্য ৩০। প্রেমিকের বয়স ৫৮, প্রেমিকার মাত্র ২৮। শুরুতেই তাই অনুমান করা গিয়েছিল ডিয়েগো ম্যারাডোনা ও তার নতুন বান্ধবী রোচিও অলিভার সম্পর্ক বেশি দিন টিকবে না। তবে পরিণতিটা হলো ধারণার চেয়েও ভয়াবহ। শুধু বান্ধবী নয়, বান্ধবীর সঙ্গে বাড়িও খোয়ালেন ম্যারাডোনা। সম্পর্কের সুতোটা এক টানে ছিঁড়ে ফেলেছেন প্রেমিকা অলিভা। পাশাপাশি প্রেমিক ম্যারাডোনাকে বাড়ি থেকেও বের করে দিয়েছেন। অথচ বান্ধবী অলিভাকেও এই বাড়িটা কিনে দিয়েছিলেন ম্যারাডোনাই।
সাবেক স্ত্রী ক্লদিও ভিল্লাফানের সঙ্গে দীর্ঘ ১৭ বছরের বৈবাহিক সম্পর্ক চুকে যাওয়ার পর একাই চলছিলেন আর্জেন্টাইন ফুটবল ঈশ্বর। কিন্তু ২০১২ সালে হুট করেই এক অনুষ্ঠানে আর্জেন্টিনার সাবেক মহিলা ফুটবলার অলিভার সঙ্গে ম্যারাডোনার প্রথম দেখা হয় ম্যারাডোনার। দেখা থেকে পরিচয়। পরিচয় দ্রুতই রূপ নেয় প্রনয়ে। খুব কম সময়ের মধ্যেই দুজনে হয়ে যান দুজনার।
নিন্দুকেরা অবশ্য তখনই বলাবলি করছিল, স্রেফ টাকা-পয়সার লোভেই ‘বুড়ো’ ম্যারাডোনার প্রেমের সাম্পানে চড়ে বসেছেন অলিভা। বয়স অর্ধেকেরও কম। রূপ-সৌন্দয্যেও পরিপূর্ণ অলিভা। গা ভর্তি রূপ-লাবন্য থাকা সত্ত্বেও ২৮ বছর বয়সী অলিভা ৫৮ বছর বয়সী ম্যারাডোনার প্রেমে হাবুডুবু খাওয়ার পেছনে এই একটাই কারণ দেখছিল তারা।
ম্যারাডোনা অবশ্য সেসব সমালোচনাকে পাত্তাই দেননি। তাদের মধ্যকার অতি-অন্তরঙ্গতাও নিন্দুকদের ভুল প্রমাণ করছিল। অসম বয়সী প্রেমিক-প্রেমিকা একে অন্যের ‘বাহক’ হয়ে উঠেন। খেলার মাঠ থেকে নাইট ক্লাব, এক দেশ থেকে আরেক দেশ, যেখানেই গিয়েছেন দুজনে একসঙ্গে গেছেন। সুন্দরী প্রিয়তমাকে এক মুহূর্তের জন্যও চোখের আড়াল করেননি ম্যারাডোনা।
প্রিয়তমাকে খুশি করতে সব কিছুই করেছেন ম্যারাডোনা। সুখে-শান্তিতে বসবাস করার স্বার্থে রাজধানী বুয়েনস এইরেসের সবচেয়ে অভিজাত এলাকা ভেল্লা বিস্তায় একটা রাজপ্রাসাদতূল্য বাড়িও কিনে দেন। বাড়িটা কিনেন বান্ধবী অলিভার নামেই।
সবকিছু পাওয়ার বিনিময়ে বান্ধবী অলিভাও প্রেমিকের হাত ধরেই হেঁটেছেন সব সময়। মুহূর্তের জন্যও ‘বুড়ো’ প্রেমিকের হাত ছেড়ে দেননি। দেখে মনে হয়েছে, যত প্রবল ঝড়োই উঠুক-তাদের সম্পর্কের বন্ধন ছিঁড়বে না। কিন্তু বাইরের ঝড়ের প্রয়োজনই হলো না। নিজেদের মধ্যকার তিক্ততার ঝড়েই এক টানে ছিঁড়ে গেল সুতো। ছিঁড়ে ফেললেন বান্ধবী অলিভাই।
৫৮ বয়সী ম্যারাডোনা কিছুদিন আগেই মেক্সিকান ক্লাব দোরাদোসের কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন। ফলে তাকে থাকতে হচ্ছে মেক্সিকোতেই। কিন্তু বান্ধবী অলিভা কিছুতেই মেক্সিকো যেতে রাজি ছিলেন না। তবে মধুর সম্পর্কটা হেঁচকা টানে ছিঁড়ে যাওয়ার পেছনে একটাই একমাত্র কারণ কিনা, তা জানা যায়নি। তবে বান্ধবী অলিভা যে প্রেমিক ম্যারাডোনাকে আর সহ্য করতে পারছিলেন না, সেটা পরিণতিতেই ফুটে উঠেছে। কম রাগে কি আর তারই কিনে দেওয়া বাড়ি থেকে তাকে বের করে দিয়েছেন!
একই সঙ্গে বাড়ি-বান্ধবী হারিয়ে ম্যারাডোনার প্রতিক্রিয়া কি, তা এখনো জানা যায়নি। ম্যারাডোনার প্রেমিক হৃদয় এরই মধ্যে নতুন কাউকে খোঁজা শুরু করে দিয়েছে কিনা, জানা যায়নি সেটাও।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন