বারী সিদ্দিকীর মৃত্যুর খবর শুনে আবেগঘন হয়ে যা বললেন মনির খান
ক’দিন ধরেই মনটা ভালো যাচ্ছিলো না। একজন ভাই, একজন সহকর্মি, একজন দাপুটে মিউজিশিয়ান, একজন সঙ্গিত পরিচালক, একজন তুমুল জনপ্রিয় শিল্পী বারি সিদ্দিকী ভাই হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে, একথা শোনার পর শরীরটা অবশ হয়ে আসছিলো। প্রতিদিন হাসপাতাল থেকে যে আপডেট পাচ্ছিলাম, তাতে বারী ভাইয়ের চলে যাওয়া ছাড়া আর কোনো বিকল্প ছিলো না। সকালে ঘুম ভেঙেই জানতে পারলাম, তিনি পাড়ি দিয়েছেন ভিন্ন গ্রহে, আমাদের সাথে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে। আজ থেমে গেছে তাঁর সুরের বংশী সকরুণ অভিমানে। থেমে গেছে তাঁর অমিয়কন্ঠ- বন্ধুয়ারে করো তোমার মনে যাহা লয়।
স্মৃতিচারণ করবো না আজ। দু-চারটে স্মৃতি থাকলে তা চারণযোগ্য হয়। দীর্ঘ বছরের যেসব অগনিত স্মৃতিরা জমা পড়েছে মনের বাক্সে, সেগুলো ওখানেই কেঁদে মরুক নিরবে-নিভৃতে।
কন্ঠশিল্পী হিসেবে পরিচিতি পাবার আগেও বারী ভাই আমাদের কতোটা প্রয়োজনীয় ছিলেন, গান-বাজনার সাথে সম্পৃক্ত সকলেই তা জানেন। গানের মিউজিক ট্র্যাক তৈরির পর আমরা আশায় থাকতাম- এখানে বারী ভাইয়ের বাঁশিটাই লাগবে।
জানি, জন্মের মতোই মৃত্যুও সত্যি। ওটা অনিবার্য, অপ্রতিরোধ্য। তবুও প্রিয়মানুষের চলে যাবার খবরে খুব অসহায় লাগে। নিথর হয়ে বসে আছি একা। কিছুই লিখতে পারছি না। ভাবতে পারছি না এই শোক ক্যামন করে সামলে নেবো।
বারী ভাই- আর দেখা হবে না কোনোদিন। কথা হবে গান আর জীবন নিয়ে। বসা হবে না কোনো আড্ডায়। এভাবেই একদিন সবকিছু থেমে যায়। থেমে যাবো আমরাও। থেমে যাবে আমাদের স্বপ্ন, আমাদের আশা, আমাদের সব সুর আর সঙ্গিত। ভালো থাকবেন সুরের কারিগর।
-কন্ঠশিল্পি মনির খান
(লেখকের ফেসবুক থেকে )
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন