বাড়ি ছাড়তেই হচ্ছে মওদুদকে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতা মওদুদ আহমদ গুলশান-২ নম্বর সেকশনের ১৫৯ নম্বর প্লটের বাড়িটি পাচ্ছেন না।
এই বাড়ি নিয়ে করা মামলায় আপিল বিভাগের দেয়া রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনটি রোববার খারিজ করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ।
গত ৩১ মে শুনানি শেষ রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য ছিল।
গত বছর ২ আগস্ট মওদুদ আহমদের ভাই মনজুর আহমদের নামে ওই বাড়ির নামজারির নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাজউকের আপিল গ্রহণ করেন আপিল বিভাগ।
তার আগে ২০১৬ সালের ৩ আগস্ট বাড়ি নিয়ে ৮০ পৃষ্ঠার আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন আপিল বিভাগ। নিয়ম অনুযায়ী, রায় প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে এই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন দাখিল করতে হয়।
সেই রায়ের বিরুদ্ধে প্রথমে মওদুদ রিভিউ করেন, পরে দুদক একটি রিভিউ করে।
২০১০ সালের ১২ আগস্ট এক আবেদনের শুনানি নিয়ে গুলশানের ওই বাড়িটি মনজুর আহমদের নামে মিউটেশন করার জন্য রায় দেন হাইকোর্ট। রাজউক এ রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল দায়ের করে ২০১১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি। ২০১৪ সালের ৯ মার্চ আপিল বিভাগ রাজউককে আপিলের অনুমতি দেন।
দুদকের দাবি, বাড়িটির প্রকৃত মালিক ছিলেন পাকিস্তানি নাগরিক মো. এহসান। ১৯৬০ সালে তৎকালীন ডিআইটির (রাজউক) কাছ থেকে এক বিঘা ১৩ কাঠার এ বাড়ির মালিকানা পান এহসান। ১৯৬৫ সালে বাড়ির মালিকানার কাগজপত্রে এহসানের পাশাপাশি তার স্ত্রী অস্ট্রিয়ার নাগরিক ইনজে মারিয়া প্লাজের নামও অন্তর্ভুক্ত হয়।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে স্ত্রীসহ ঢাকা ত্যাগ করেন এহসান। তারা আর ফিরে না আসায় ১৯৭২ সালে এটি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত হয়। এরপর ১৯৭৩ সালের ২ আগস্ট মওদুদ তার ইংল্যান্ড প্রবাসী ভাই মনজুরের নামে থাকা একটি আমমোক্তারনামার ভিত্তিতে বাড়িটি সরকারের কাছ থেকে বরাদ্দ নেন। কিন্তু বাড়িটির নামজারি কার্যক্রম নিয়ে জটিলতা ছিল।
মনজুর আহমেদ তার অনুকূলে নামজারি করার জন্য হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। বর্তমান সরকারের আমলে ২০১০ সালের ১২ আগস্ট হাইকোর্ট এক মাসের মধ্যে মওদুদ আহমদের ভাইয়ের অনুকূলে নামজারি সম্পন্নের জন্য নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে রাজউক আপিল করে। অন্যদিকে আমমোক্তারনামা সঠিক নয় এই অভিযোগে দুদক একটি মামলা দায়ের করে। ২০১৪ সালের ১৪ জুন এ মামলায় অভিযোগ আমলে নেন বিচারিক আদালত।
এর বিরুদ্ধে তাদের আবেদন ২০১৬ সালের ২৩ জুন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন মওদুদ আহমদ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন