‘বিদেশি পর্যবেক্ষক আসা বন্ধ করতেই বড়দিনের ছুটিতে নির্বাচন’
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ পেছানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি। ভোটের তারিখ পেছানোয় সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে বলে আশা তাদের।
তবে নির্বাচনের তারিখ সাতদিন পেছানো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মন্তব্য করে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট নেতারা অভিযোগ করেছেন, বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আসা বন্ধ করতেই বড়দিনের ছুটিতে ভোটের তারিখ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
২৩ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণের দিন ধার্য করে গেলো ৮ নভেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তবে তফসিল ঘোষণার পরই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট একমাস এবং বিকল্পধারা বাংলাদেশ সাতদিন নির্বাচন পেছানোর দাবি করে চিঠি দেয় কমিশনে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, নির্বাচন কমিশন যেটুক পিছিয়েছে, এটি সরকারের নির্দেশে করেছে।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়, নির্বাচন পেছানোর এখতিয়ার ইসির। এই প্রেক্ষাপটে ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের নতুন দিন ধার্য করে পুনঃতফসিল ঘোষণা করে কমিশন। ইসির সিদ্ধান্ত স্বাগত জানিয়েছে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি।
ঐক্যফ্রন্ট নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এবারের নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক জরুরি ছিল বলে আমি মনে করি। আমাদের কোনো দাবি মানা হয়নি। তারপরেও আমরা মনে করছি জনগণের মধ্যে যে সাড়াটা আসছে তাতে ভোট বিপ্লব হবে। এটা যদি রাষ্ট্রীয় শক্তি দিয়ে দমন করা হয় তাহলে সেটা প্রতিরোধের উপায় হবে যাতে বিদেশিরা এখানে পর্যবেক্ষক থাকতে পারেন। সেটা তো তারা করতে পারছেন না।
তবে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট নেতারা বলছেন, নির্বাচন সাতদিন পেছানোর মাধ্যমে, সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়েছে কমিশন। বিদেশি পর্যবেক্ষকরা যেন থাকতে না পারেন সেকারণে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ৩০ ডিসেম্বর বড়দিনের ছুটির মধ্যে ভোটের তারিখ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
প্রশ্নছিলো ২০০৮ এর ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচন নিয়ে।
এদিকে, ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা করায় নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন