বিদেশ থেকে টাকা দিয়ে প্রতিনিধি আমরা আনবো না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বেলজিয়াম সফর নিয়ে ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান,নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বিদেশ থেকে টাকা দিয়ে প্রতিনিধি আনবেন না ।
অর্থ দিয়ে বিদেশ থেকে প্রতিনিধিদল নিয়ে আসার মতো অবস্থায় আমরা নেই বলে জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। আপনারা ব্রাসেলস যাচ্ছেন, সেখানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনেকের সঙ্গে দেখা হবে।
ইউরোপ অর্থ ছাড়া বাংলাদেশে পর্যবেক্ষক পাঠাবে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা আগে বড় দল পাঠানোর চিন্তা করেছিল। কিন্তু তাদের বাজেটের সমস্যা। সব দেশে এখন বাজেটে সমস্যা। যে কারণে সাতজনের একটি প্রতিনিধিদল তারা পাঠাবে। তাদের জন্য আমাদের কোনো টাকা-পয়সা লাগবে না। তবে তারা এখানে আসার পরে বাকি যেসব সাহায্য-সহযোগিতা লাগে, সেটা আমরা দেবো। তারা এখানে বিভিন্ন জেলায় যাবে, সেটার ব্যবস্থা আমরা করবো। তবে বিদেশ থেকে টাকা দিয়ে প্রতিনিধি আমরা আনবো না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে গাজায় ইসরায়েলি হামলা নিয়ে বিক্ষোভ করতে বাধা দেওয়া হয়। বিক্ষোভ করায় সেখানে লোকজনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।তিনি বলেন, অর্থনীতিতে একটা কঠিন সময় যাচ্ছে আমাদের। এই সফরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে কোনো বাজেট সহায়তা চাওয়া হবে কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তি উদযাপন করেছি।
তারা বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে এসেছে। তারা আমাদের উন্নয়ন অংশীদার। ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে তাদের সঙ্গে আমাদের বহুপাক্ষিক সম্পর্ক। সম্প্রতি দেখেছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টে ৭০০’র বেশি সদস্য আছেন। তাদের ছয়জন একটা বক্তব্য দিয়েছিলেন। পরে বাকিরা বলেছেন ভুল তথ্যের জন্য এটা বাদ দেওয়া উচিত।
ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা করা হবে কি না- জানতে চাইলে মোমেন বলেন, তাদের সঙ্গে মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতা নিয়ে আমরা অব্যাহত আলোচনা করছি। আমাদের বাকস্বাধীনতা, বিক্ষোভ করার স্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে সবাই অনেক সোচ্চার। আপনারা যা চান, তাই লিখতে পারেন, বলতে পারেন। কিন্তু ইউরোপের বিভিন্ন দেশে গাজায় ইসরায়েলি হামলা নিয়ে বিক্ষোভ করতেও বাধা দেওয়া হয়। গ্রেফতার করা হয়। আমরা তো সেসব ঝামেলায় যাই না। আপনি যা করার করুন। আমাদের রাস্তাঘাট, বিপণিবিতান, পানশালা কিংবা রেস্তোরাঁয় কাউকে গুলি করে মারি না। আমরা সবার জন্য গণতন্ত্র রক্ষা করি। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা করলে এসব ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান অনেক উন্নত।
কঠিন সময়ে প্রধানমন্ত্রী দেশের বাইরে যাচ্ছেন বলে আপনি বক্তব্যে আপনি বলেছেন, এই কঠিন সময় বলতে আপনি কী বুঝিয়েছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সামনে নির্বাচন। আমাদের এখন কোনো সময় নেই দেশের বাইরে যাওয়ার। আমরা অর্থাৎ আমাদের সব সহকর্মীরা নিজ নিজ এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছি। সময় পেলেই এলাকায় চলে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও এলাকায় নিয়ে যেতে বিভিন্নভাবে তাগাদা দিচ্ছি। এসময়ে তার বাইরে যাওয়াটা…।
আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ভোটাররা। তাদের কাছে আমাদের জবাবদিহি আছে। সেজন্য আমরা সময় পেলেই এলাকায় যাচ্ছি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন