যৌতুক দাবি এবং মারধরের অভিযোগ তুলে এরই মধ্যে স্বামী পারভেজ সানজিরের সঙ্গে বিচ্ছেদের আবেদন করে আলোচনায় রয়েছেন সংগীতশিল্পী মিলা। এরইমধ্যে দীর্ঘ এক ফেইসবুক পোস্টে সহকর্মী বিমানবালাদের সঙ্গে সানজিরের পরকীয়ার অভিযোগ তুললেন তিনি।

সোমবার সকাল ১১ টার দিকে করা ওই পোস্টে মিলা লিখেন, ‘প্রথমত আমি আমার ব্যক্তিগত জীবনের তথ্য সবার সামনে তুলে ধরছি, তার কারণ অনেকবছর ধরেই আমার জীবন আর আমার ব্যক্তিগত নেই। আর তাই ভক্তদের কাছে জবাবদিহি করতে আমি বাধ্য।’

তিনি আরও লিখেন, ‘আমার স্বামীকে প্রকাশ্যে একজন নিষ্পাপ মানুষ হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে, যেন সে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কিছুই করতে সক্ষম নয়! শারীরিক নির্যাতন ও যৌতুকের অভিযোগ ছাড়াও সে যে অন্য নারীদের সঙ্গে পরকীয়া চালিয়ে যাচ্ছে, এবং যত ইচ্ছা তত বেশি পরকীয়া চালাবে বলে তার স্ত্রীকে হুমকি দিয়ে মানসিক চাপের মধ্যে রেখেছে- এসবের কিছুই তার সমর্থকেরা স্বীকার করতে চাইছে না।’

‘অবশ্যই সে ‘নিরাপরাধ’, সুতরাং, যে অপরাধ সে করেইনি, সেজন্য গ্রেফতারের ভয় তার থাকা উচিৎ নয়, ঠিক কিনা,’ নিজের ভক্তদের উদ্দেশ্যে এই প্রশ্নও ছুঁড়ে দেন মিলা।

স্বামীর পরকীয়ার প্রমাণ হিসেবে জান্নাত আরা নামের এক তরুণীর সঙ্গে সানজিরের তোলা একটি ঘনিষ্ঠ ছবি ও চ্যাটলগের স্ক্রিনশটও পোস্টের সঙ্গে তুলে দেন মিলা।

এ ব্যাপারে লিখেন,‘হাতকড়া পড়ার আগে আমার ‘সাধু’ স্বামী কী কী করতো, তার ছোট্ট একটা উদাহরণ শুধু দিচ্ছি আমি। এক এয়ারহোস্টেস, যার সঙ্গে সে প্রকাশ্যে প্রেম করতো, তার সঙ্গে আমার স্বামীর চ্যাটলগ ও ছবি তুলে দিলাম।’

মিলা তার পেশায় পাইলট স্বামীর কর্মস্থলের প্রতিও আঙুল তোলেন।

বলেন, ‘যখন আপনারা সবকিছু জানেন, যখন আপনাদের কর্মকর্তাদের এহেন কার্যকলাপের পরও তার সাফাই গেয়ে তাকেই নিজেদের পোস্টার বয় হিসেবে উপস্থাপন করেন, তখন বাসায় থাকা আপনাদের মা-বোনদের কথা কি একটুও মনে পড়ে না? কেবলমাত্র একজন শিল্পী হওয়ার কারণে একজন নারীকে না ব্যক্তিগতভাবে না চিনেও তার দিকে কাদা ছুঁড়তে কিন্তু আপনাদের বাধে না।’

চলতি বছরেই ১০ বছর প্রেমের পর সানজিরের সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন মিলা। বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই অন্য নারীর সঙ্গে সানজিরের সম্পর্ক রয়েছে বলে জানতে পারেন তিনি।

৫ অক্টোবর রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিতে মারধরের অভিযোগে মামলা করেন মিলা। মামলার পরপরই গ্রেফতার হন সানজির। সম্প্রতি দুইবারের চেষ্টাতেও জামিন পেতে ব্যার্থ হয়েছেন তিনি।

সোমবার সকালেও মামলা সংক্রান্ত কাজে আদালতপাড়ায় দেখা গেছে মিলাকে। সেখান থেকে তিনি জানিয়েছেন,স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার তো নয়ই, বরঞ্চ এর শেষ দেখে ছাড়ার ব্যাপারে ‘দৃঢ়প্রতীজ্ঞ’ তিনি।