বিমান ছিনতাইচেষ্টা : যেসব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে না কেউ

বিমানবন্দরের নিরাপত্তাবেষ্টনী ডিঙিয়ে কথিত ছিনতাইকারীর বিমানে ওঠা নিয়ে প্রশ্ন করলে স্পষ্ট জবাব মেলেনি বিমানপ্রতিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কারো কাছেই। তদন্ত কমিটি বলছে, খতিয়ে দেখেই তারা জানাবে।

বিমানপ্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীর দাবি, চার স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী পাশ কাটিয়ে কারো পক্ষেই সম্ভব নয় বিমানে ওঠা। এদিকে, কথিত ছিনতাইচেষ্টাকারীর পরিচয় শনাক্ত করেছে র‌্যাব। পলাশ আহমেদ নামে ওই যুবকের বাড়ি নারাণগঞ্জে সোনারগাঁওয়ে। র‌্যাব জানিয়েছে, সে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী।

চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরের রুদ্ধশ্বাস সেই দুই ঘণ্টা। সফল কমান্ডো অভিযানে ছিনতাইকারী নিহত হয়। নিরাপদে বের করে আনা হয়, পাইলট, ক্রু এবং যাত্রীদের।

এদিকে প্রশ্ন উঠেছে, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ছেদ করে পিস্তল নিয়ে কিভাবে প্রবেশ করলো একজন ছিনতাইকারী? যেখানে একজন বিমান যাত্রীকে বিমানবন্দরের চারটি স্তর ডিঙিয়ে বিমানে উঠতে হয়।

সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিমানসচিব বলেন, এ বিষয়ে ৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর প্রতিমন্ত্রীর দাবি নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

কর্তৃপক্ষের একজন বলছে, ‘প্রথম কথা হচ্ছে পিস্তলটি কি খেলনা কিনা কিংবা আসল কিনা সে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল না। আমরা তদন্ত টিমের প্রতিবেদনের পর শিওর হতে পারবো।’

কথিত সেই ছিনতাইকারীর নাম পলাশ আহমেদ। নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁওয়ের দুধঘাটা পিরিজপুরের পিয়ার জাহান সরদারের ছেলে। র‌্যাব জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রী ছিল সে। আর বিমানে তার আসন নম্বর ছিল ১৭-এ।

রোববার (২৪ ফেব্রয়ারি) দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা হওয়া বিমানটি মাঝ আকাশে উঠতেই পিস্তল নিয়ে ককপিটে এক যুবকের প্রবেশের চেষ্টা। দাবি ছিল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলিয়ে দেয়ার। বিকেল ৫টা ৪১ মিনিটে চট্টগ্রামে জরুরি অবতরণের পর ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, কমান্ডো, র‌্যাব, সোয়াট ঘিরে ফেলে বিমানটিকে। সন্ধ্যা ৭টা ১৭ মিনিটে শুরু হয় সেনা কমান্ডোদের অভিযান। ৮ মিনিটের অভিযানে নিহত হয় ছিনতাইকারী।