বিমান দুর্ঘটনায় স্বজনরা বীমার টাকা পায়, সড়ক দুর্ঘটনায় কী পায়?
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2018/04/image-39197-1523953295.jpg)
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2025/02/475351977_1256003665483861_2959209934144112011_n.jpg)
সকালে হঠাৎ করে ঘুম ভেঙে গেল। যা হবার তাই, ফোন হাতে নিয়ে ফেসবুক ঘাটাঘাটি করতে শুরু করলাম।
প্রথমেই ধাক্কা খেলাম একটা খবর পড়ে। রাজীব ছেলেটা মারা গিয়েছে।
দুই বাস ড্রাইভারের বেপরোয়া ড্রাইভিং করার বলি হয়েছিল ওর ডান হাত।
অনেক রকম সহানুভূতির খবর হচ্ছিল গত কিছুদিন ওকে নিয়ে। কাজ করার ব্যবস্থা, চিকিৎসা করার দায়িত্ব এসব।
আজকে চলে গেলো সব দায় দায়িত্ব শেষ। আসলেই কি শেষ?
যে দুজন ড্রাইভারের জন্য একজন মানুষ হাত হারালো, তারপরে জীবনটাও গেলো, সেই দুজন ড্রাইভারের বিচার কি আদৌ হবে?
সড়ক দুর্ঘটনা বাংলাদেশে নিত্তনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যেসব পরিবার সড়ক দুর্ঘটনাতে স্বজন হারায়, তারা জানে, কষ্টটা কেমন।
আমাদের দেশের নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, স্ত্রীকে হারাবার পর থেকেই নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন করছেন।
সফলতা যে একেবারেই নেই, তা বোঝা যায় লাগামছাড়া দুর্ঘটনা সংখ্যা দিয়ে।
খবরে আর কয়টা আসে? যা আসে, তার চেয়েও বেশি মানুষ মারা যাচ্ছেন প্রতিদিনই। এটা কিন্ত খুব বড় ব্যাপার।
বিমান দুর্ঘটনা হলে ইন্স্যুরেন্সের টাকা পায় স্বজনরা, কিন্ত সড়ক দুর্ঘটনা হলে কী পায়? কিছুই না।
তাহলে আমাদের দেশের বীমা ব্যবসা এত লাভের হতো না।
আমি বীমা ব্যবসা নিয়ে মাথাব্যাথা করছি না। আমি চিন্তা করছি সেই পরিবারগুলোকে নিয়ে কিছুটা।
আমি ১৯৮২ সাল থেকে লুকিয়ে গাড়ী চালাতাম।। বেআইনি, অবশ্যই মানছি। কিন্ত কখনই লাইসেন্স পাওয়ার আগে গাড়িতে অ্যাক্সিডেন্ট করিনি।
লাইসেন্স করে গাড়ি চালাই ১৯৮৯ থেকে। তারপরেও দু’বার বড় দুইটা অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছিল।
একবার বাবার স্টারলেট গাড়ী আর পরেরবার আমার প্লাটজে।
গাড়িরই ক্ষতি হয়েছিল, আমার কিছু হয়নি অবশ্য। আলহামদুলিল্লাহ।
কিন্ত যারা বেপরোয়া চালাচ্ছে, সেই অশিক্ষিত, অনভিজ্ঞ ড্রাইভার, সে বাসেরই হোক বা ট্রাকেরই হোক, কিংবা সাধারণ গাড়িরই হোক, তাদের বিচার করবে কে? আইন করবে কে?
আমি জানি এর কোন উত্তর পাবো না। কিন্ত কিছু তো করা লাগবে।
আমাদের বিআরটিএ ড্রাইভিং লাইসেন্স দেবার অধিকারী সংস্থা। ক’জনকে পরীক্ষা নিয়ে ঠিক মতো দেখে লাইসেন্স দেয়? আমি সন্দিহান।
সত্যিকথা বলতে প্রায় কেউ পরীক্ষা দিয়ে লাইসেন্স পায় না।
শিক্ষিত পরিবারের সন্তানরা হয়তো তাও চালানো শিখে গাড়ি চালায়, তাও কি সবসময়?
তাহলে ধনীর ছেলে যখন বেপরোয়া চালিয়ে মানুষ মারে, তার মুক্তি পাওয়ার জন্য বাবা থানায় খাম পাঠান কেন?
খাম দিলে চলেই আসে মুক্ত হয়ে। একমাত্র বাংলাদেশেই সম্ভব, অন্য কোথাও মনে হয় না।
হয়তো আজকে রাতে টেলিভিশন চ্যানেলগুলো খুব গরম আলোচনা চালাবে এই রাজীবকে নিয়ে।
কিন্ত আসল কাজের কি হবে? কিভাবে লাগাম টানবে তার কিছু উপায় তো কখনই নির্ধারিত হবে না।
আমাদের উন্নয়নশীল দেশে অনেক কিছুই করার আছে। অনেক কাজ বাকি। আমাদেরকেই করতে হবে। করবোও।
আমি একটা চিন্তা করেছি, দেখি কতটা কাজ করতে পারি, চেষ্টা করতে দোষ কি?
আমার ক্ষুদ্র সামর্থ্যানুযায়ী যতটুকু পারি করবো। তবে অবশ্যই সরকারের সাহায্য লাগবে।
-সুহৃদ তৌফিকুল করিমের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2024/12/469719549_122234398946008134_2936380767280646127_n.jpg)
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন