বিমান যাত্রায় যে ১০টি কাজ ভুলেও করবেন না
কম বেশি আমরা সবাই পেশাগত কারণেই হোক বা শকের বসেই হোক বিমান যাত্রা করে থাকি। অনেক ক্ষেত্রে হয়ত এখন অনেকেই বিমান যাত্রা না করলেও হয়ত ভবিষ্যৎ দিনে করতে হতে পারে। তাই জেনে রাখা উচিত বিমান যাত্রার সময় যে ১০টি কাজ করা ঠিক না।
বিমানে উঠতে তাড়াহুড়া নয় : একটি বিমানে একসঙ্গে কয়েকশত যাত্রী আরোহণ করেন। যাত্রীদের ঠিকভাবে তুলতে তাই বিমান সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন গ্রুপ নম্বরে যাত্রীদের ভাগ করে ফেলেন।
এরপর সেই নম্বর অনুযায়ী যাত্রীদের বিমানে উঠতে বলা হয়। সমস্যা হয়, যখন নম্বরের তোয়াক্কা না করেই অনেকে বিমানে উঠতে ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন। এটা খুবই বিরক্তিকর ব্যাপার। অনেক সময় শুধুমাত্র এ জন্য বিমান ছাড়তে দেরি হয়।
বিমানে ওঠার আগে শেষ টান : বিমানের মধ্যে ধূমপান নিষিদ্ধ। অনেকে তাই বিমানে ওঠার আগ মুহূর্তে সিগারেটে দু’টো টান দিয়ে নেন। সমস্যা হচ্ছে, বিমানের ভেতরটা আবদ্ধ। তাই সেখানে আপনার সিগারেটের গন্ধ অন্য আরোহীকে বিরক্ত করতে পারে। তাই সম্ভব হলে বিমান ওঠার আগ মুহূর্তে ধূমপান পরিহার করুন। আর বিমানে ধুমপান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
সামনের সিটে ধাক্কা বা লাথি নয় : বিমানের সিটগুলো হয় হালকা ধরনের। মূলত তেল খরচ বাঁচাতেই এই ব্যবস্থা। তাই এসব সিটে পেছন দিক দিয়ে ধাক্কা দিলে, তা সিটে বসা আরোহীকে আঘাত করতে পারে। সুতরাং কোনো অবস্থাতেই সামনের সিটে ধাক্কা বা লাথি দেবেন না।
হাতল দখলের লড়াই : বিমানের সিটগুলোতে খুব বেশি জায়গা থাকে না। একটি সিটের সঙ্গে আরেকটি সিট লাগানো থাকে এবং হাতল থাকে একটা। কেউ কেউ তাই কনুই দিয়ে অপর যাত্রীকে গুতা দিয়ে কিংবা হাত শক্ত করে হাতলে রেখে সেটা দখলে রাখার চেষ্টা করে। এমনটা করা মোটেই উচিত নয়।
নগ্ন পায়ে ঘোরা নয় : অনেকেই বিমানে উঠে জুতা, এমনকি মোজাও খুলে ফেলেন। এটা অনেকের জন্যই বিরক্তিকর। আর খালি পায়ে বিমানের টয়লেট ব্যবহার করলে রোগজীবাণু আক্রান্তের আশঙ্কা বেড়ে যায়। সুতরাং বিমানে জুতা পরেই থাকুন।
শব্দ বন্ধ না করেই গেম খেলা : আজকাল স্মার্টফোন, ট্যাবলেটে সহজেই ভিডিও গেম খেলা যায়। এতে অবশ্য খারাপ কিছু নেই। কিন্তু বিমানে বসে শব্দ বন্ধ না করে গেম খেললে তা অন্য আরোহীদের বিরক্ত করতে পারে। তাই শব্দ বন্ধ করে গেম খেলা ভদ্র ব্যাপার।
পেছনের লোকের আগে নামার লড়াই : বিমান ল্যান্ড করার পর তার দরজা খোলার আগেই অনেকে নামার জন্য তাড়াহুড়া শুরু করে। পারলে সামনের যাত্রীকে ডিঙিয়ে যাওয়ার চেষ্টা। এটা খুবই অশোভন আচরণ। বিমান যখন অবতরণ করেছে, তখন সব যাত্রীকেই নামাবে। তাই নিশ্চিন্তে বসে অপেক্ষা করুন।
হ্যালো, রানওয়েতে আছি : বিমান অবতরণের সঙ্গে সঙ্গেই অনেকে ফোন করতে শুরু করেন। এমনকি নেটওয়ার্ক না পাওয়া গেলে চলে নিরন্তন চিৎকার: হ্যালো, এইমাত্র ল্যান্ড করলাম, শুনতে পাচ্ছো? আসলে এভাবে তাড়াহুড়া করা ভালো নয়। বিমানবন্দরে অপেক্ষারতরা বিভিন্ন ডিসপ্লে ঘোষণার মাধ্যমে এমনিতেই বিমান অবতরণের খবর জানতে পারেন। তাই প্রিয়জনকে সেটা জানাতে তাড়াহুড়া না করলেও সমস্যা নেই।
ভ্রমণ করছেন, কিন্তু নড়ছেন না : বড় বিমানবন্দরগুলোতে বিশেষ ধরনের ‘মুভিং ওয়াকওয়ে’ থাকে। এটা অনবরত সামনের দিকে যেতে থাকে। ফলে কেউ ‘মুভিং ওয়াকওয়েতে’ দাঁড়ালে এমনিতেই সামনের দিকে যেতে পারবেন। তাই অনেকে এতে দাঁড়িয়ে থাকেন। এটা আসলে ঠিক নয়। বরং মুভিং ওয়াকওয়েতে আপনি স্বাভাবিকভাবে হাঁটলে অন্য যাত্রীদের সুবিধা হবে।
লাগেজ নেয়ার তাড়া : বিশ্বের সব বিমানবন্দরেই লাগেজ নেয়ার জন্য বিশেষ জায়গা আছে। সেখানে বেল্টের উপরে লাগেজগুলো একের পর এক দেয়া হয়। সেই বেল্ট অনবরত ঘুরতে থাকে। অনেক সময় বিমান থেকে নেমেই মানুষ সেই বেল্ট ঘিরে বড় জটলা তৈরি করে ফেলেন। এটা অনর্থক। বরং একটু দূরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলে আপনার লাগেজ দেখা সহজ হবে। এরপর সময়মত সেটি বেল্ট থেকে সরিয়ে নিলেই হলো। – ডিডাব্লিউ
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন