বিয়ের খরচের জন্য অতিথিদের সাহায্য চাইলেন বর
বেন ফারিনা ও ক্লেয়ার মোরান প্রায় ছয় বছর ধরে একসঙ্গে বাস করছেন। তাদের তিন বছর বয়সী মেয়ে রয়েছে।
এক দম্পতি প্রায় ছয় বছর ধরে একসাথে আছেন, তাদের একটি সন্তানও আছে। তারা বিয়ে করার জন্য মনস্থির করলেন।
কিন্তু যেভাবে আয়োজন করে বিয়ের অনুষ্ঠানের স্বপ্ন দেখেন তারা সেভাবেই অনুষ্ঠান করার এক ‘বিজনেস মডেল’ পরিকল্পনা করলেন বেন ফারিনা।
বিয়ের অতিথিদের অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার জন্য ১৫০ পাউন্ড করে দিতে বললেন তিনি।
বেন ফারিনা বলছেন, আগামী জুন মাসে তিনি প্রেমিকা ক্লেয়ার মোরানকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন, আর এই বিয়েটা অতিথিদের জন্য হবে ‘সব কিছু সম্বলিত একটি ছুটির দিন’।
বিয়ের ভেন্যু ঠিক করা হয়েছে ডার্বিশায়ারে, যে বাড়িটিতে অনুষ্ঠান হবে সেখানে পুল আছে এবং স্পা-এরও ব্যবস্থা আছে।
ভেন্যুতে তিনদিন থাকতে হবে বিয়ের বর-কনে ও অতিথিদের।
রটেরহ্যামে বসবাসরত ফারিনা এজন্য অবশ্য কিছুটা সমালোচনার মুখেও পড়েন। তবে তিনি বলছেন, তার এমন পরিকল্পনা অনেক অতিথিউ সুন্দরভাবে গ্রহণ করেছেন।
তাদের বিয়েতে যে ৬০ জন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি ও ২০ জন শিশু উপস্থিত থাকবে তা ইতোমধ্যেই নিশ্চিত হয়ে গেছে। যারা আসবেন তারাও সেই অর্থ তাদের দিয়ে দিয়েছেন।
‘কোনো বিয়ের অনুষ্ঠানে গেলে খরচ কিন্তু কম হয় না। শুধুমাত্র একজন ব্যবসায়ীকে টাকা না দিয়ে সত্যিকারের এক বিয়ের অনুষ্ঠানে মানুষ কেন টাকা খরচ করবে না বলুন তো?’ বলছিলেন ফারিনা। যিনি মূলত লেস্টারের নাগরিক।
‘আমি আসলে আমার এ পরিকল্পনা তাদের কাছে এমনভাবে বিক্রি করেছি যেন এটা তাদের জন্য একটা অবসর যাপনের প্যাকেজ, সবকিছু সম্বলিত ছুটির দিন। ওই ১৫০ পাউন্ড খরচ করে তারা থাকতে পারছে, খাবার পাচ্ছে, পানীয়ও পাচ্ছে’।
‘এছাড়া বিয়ের ভেন্যুতে স্পা ব্যবস্থা আছে, ইনডোর সুইমিং পল, গেমস রুম সবই আছে। এমনকি স্থানীয় সুবিধাগুলোও হাতের অনেক কাছে। একটা লেকও আছে, এটা আসলে ছুটি কাটানোর জন্য ছোট্ট একটা রিসোর্ট বলতে পারেন’ বলছিলেন বিয়ের বর ফারিনা।
ফারিনা জানান, তিনি ও তার সঙ্গী এক বন্ধুর বিয়েতে গ্রিসে গিয়েছিলেন। সেখানে প্রায় সাড়ে পাঁচশো পাউন্ড খরচ হয়েছিল এবং সেখানে থাকতে তাদের বারোশো পাউন্ড খরচ হয়েছিল।
তার মতে, কোনো বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে চাইলে সাধারণত একশো পাউন্ড খরচ হয় আর বারে বসলেতো ৫০ পাউন্ড খরচ হবেই।
‘আমি কিন্তু অনেক হিসাবনিকাশ করে এই প্রস্তাব দিয়েছি অতিথিদের। আমি জানতাম মোরানকে বিয়ের কথা বললেই সে বলবে কিভাবে অনুষ্ঠান আয়োজন করবো? তাই তাকে আমি বুঝালাম বিষয়টা’।
মোরান বলছেন, তিনি স্বপ্নেও ভাবেননি এভাবে তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানটা হবে। আমরা বিয়ের কথা ভাবছিলাম। আমাদের একটা ছোট মেয়েও আছে। বিয়ের অনুষ্ঠান যে আমরা করতে পারবো না জানতাম, কারণ বিয়ের আয়োজন করতে গিয়ে ব্যবসায়ীরা যে পরিমাণ টাকা নেয় সেটা দেয়া সম্ভব না। শুধু ভাবতাম রেজিস্ট্রি করেই হয়তো বিয়েটা সেরে নিতে হবে। বড় অনুষ্ঠান করা সম্ভব নয়।
এটা একটা দারুণ পরিকল্পনা। আমিতো অপেক্ষায় আছি সেই দিনটির। সে অনেক চিন্তা করে এমন আয়োজন করছে বলে জানিয়েছে বিয়ের কনে মোরান। সূত্র: বিবিসি
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন