বিশ্বের সবচেয়ে বয়সী রাষ্ট্রনেতা হচ্ছেন মাহাথির
মালয়েশিয়ার জাতীয় নির্বাচনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ ঐতিহাসিক বিজয় লাভ করেছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনিই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী নির্বাচিত নেতা হতে যাচ্ছেন।
সাবেক সমর্থক ও অনুসারী নাজিব রাজাকের সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে বেশ কিছুদিন ধরেই সরব ছিলেন মাহাথির।
নির্বাচনে ১৯৫৭ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা বারিসান ন্যাশনাল (বিএন) জোটের পতন হলো। একসময় এই জোট থেকেই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
জয়ের পর মাহাথির বলেন, তাঁর জোট পাকাতান হারাপান (আশার জোট) দেশে আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবে।
এ ব্যাপারে নাজিব রাজাক এখনো মন্তব্য করেননি।
সরকারি ফলে দেখা গেছে, মাহাথিরের নেতৃত্বাধীন জোট পাকাতান হারাপান ২২২টির মধ্যে ১১৩টি আসন নিশ্চিত করেছে। আর ৭৯টি আসন পেয়েছে নাজিব রাজাকের জোট বিএন।
বিজয়ের পর কুয়ালালামপুরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মাহাথির বলেন, তাঁর জোট কেবল কতগুলো ভোটই পায়নি, কয়েকটি আসনও নিশ্চিত করেছে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠতাও নিশ্চিত করেছে। তিনি আশা করেন, বৃহস্পতিবার শপথ অনুষ্ঠান হবে এবং সমর্থকদের বিজয় উল্লাস করার আহ্বান জানান।
মাহাথির বলেন, ‘বিজয়ীদের কোনো ছুটি হবে না।’
বিরোধী জোটের সমর্থকরা, যাদের বেশির ভাগই সারা জীবন একটি সরকার দেখে আসছে, উদযাপনের জন্য রাতে রাস্তায় নেমে এসেছে।
৪৮ বছর বয়সী চিকিৎসক সুলা সেলভান বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমার মনে হয়, এই পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে আমরা কিছু একটা ভালো ভবিষ্যৎ পাব। একটি ভালো, স্বচ্ছ, অবাধ, ঐক্যবদ্ধ সরকার আমাদের আশা।’
মাহাথির মোহাম্মদ ১৯৮১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত ২২ বছর বিএন জোট থেকে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে মালয়েশিয়া অন্যতম ‘এশিয়ার টাইগারে’ পরিণত হয়। তবে তাঁর কর্তৃত্ববাদী নীতির অধীনে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের কারাগারে যেতে হবে।
এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছিল মাহাথিরের উপপ্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম যখন বরখাস্ত হন, যাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও সমকামিতার অভিযোগ ছিল। ১৯৯৮ সালে তিনি অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংস্কারের ডাক দিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত সমকামিতার দায়ে তাঁকে কারাগারে যেতে হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন