বিয়ের প্রলোভনে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, কারাগারে আইনজীবী
হবিগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে কলেজছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে আইনজীবী আবুল খায়ের আজাদ উজ্জ্বলকে (৩৫) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার (০৯ নভেম্বর) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-১ এর বিচারক সুদীপ্ত দাশ এ আদেশ দেন। অভিযুক্ত আইনজীবী আবুল খায়ের আজাদ উজ্জ্বল নবীগঞ্জ উপজেলার হালিতলা গ্রামের আব্দুল কদ্দুছ আজাদের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, উজ্জ্বল হবিগঞ্জ শহরের হরিপুর এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে হবিগঞ্জ কোর্টে আইনজীবী পেশায় নিয়োজিত। এক বিয়ের অনুষ্ঠানে শহরের বাসিন্দা সরকারি বৃন্দাবন কলেজের অনার্সের এক ছাত্রীর (২৫) সঙ্গে তার পরিচয় হয়।
একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে ওঠে। এরপর উজ্জ্বল তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন এবং জীবনসঙ্গী করার অঙ্গীকার করেন। এ কারণে তাদের সম্পর্ক গভীর হয়।
এ সুযোগে বিভিন্ন ফাস্টফুড ও রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করেন। ২০১৬ সালের ১৫ নভেম্বর শহরের মোহনপুর এলাকার একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করেন উজ্জ্বল। একই প্রলোভনে তাকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
একপর্যায়ে কলেজছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে শহরের চাঁদের হাসি ক্লিনিকে নিয়ে গর্ভপাত ঘটান উজ্জ্বল। পরে বিয়ের জন্য চাপ দিলে এড়িয়ে যান আইনজীবী। এ ঘটনায় ৭ জানুয়ারি আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে সদর থানায় ধর্ষণ মামলা করেন কলেজছাত্রী। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর সোমবার আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন তিনি। বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবুল হাশেম মোল্লা মাসুম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষণ মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন