বুমরার নো বল এবার পাকিস্তানি পুলিশের প্রচারণায়!
জয়পুর পুলিশ প্রথম এটি করেছিল। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে ফখর জামানকে করা জসপ্রীত বুমরার ‘নো বলে’র ছবিটি ব্যবহার করে তারা বানিয়েছিল ট্রাফিক আইন নিয়ে গণসচেতনতার বিজ্ঞাপন। ব্যাপারটি ভালো লাগেনি খোদ ভারতীয় পেসারের। দেশকে সেবা দেওয়ার পর এমন অপমান তাঁর প্রাপ্য ছিল কি না, বুমরা এমন প্রশ্ন করেছেন। জয়পুর পুলিশ দুঃখ প্রকাশ করে এটি প্রত্যাহার করে নিলেও একই ছবি এখন ব্যবহার করছে পাকিস্তানের ফয়সলাবাদ পুলিশ।
বুমরার নো বলের ছবিটি ব্যবহৃত হয়েছিল ‘সীমা অতিক্রম না করা’র প্রসঙ্গে। ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য করা কিংবা জেবরা ক্রসিংয়ের নির্দিষ্ট রেখার আগে গাড়ি দাঁড় করানোর আবেদনই ছিল সেই বিজ্ঞাপনে। বুমরার নো বলের দৃশ্যটি ব্যবহার করা হয়েছিল সীমা অতিক্রমের মূল্য বোঝাতে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে ফখরকে আউট করার পরেও দেখা যায় বুমরা ক্রিজের সীমার বাইরে পা ফেলে বুমরা নো বল করে বসে আছেন। সেই নো বলটি যে কতটা ক্ষতির কারণ হয়েছে, সেটা ভারত বুঝেছে হাড়ে হাড়েই।
ফখর দারুণ এক সেঞ্চুরি করে পাকিস্তানকে বিশাল সংগ্রহে সহায়তা করেন। ব্যাটিংয়ে নেমে ভারত ভেঙে পড়ে সেই রান তাড়া করার চাপেই।
জয়পুর পুলিশের মতো ফয়সলাবাদ পুলিশও একই বার্তা দিচ্ছে—সীমা অতিক্রম না করার। কিন্তু এ ধরনের নো বল যেখানে খেলারই অংশ, সেখানে সেই নো বলের ছবি ব্যবহার করে গণসচেতনতা তৈরির কাজে ব্যবহার করা কতটা যুক্তিযুক্ত সে প্রশ্ন কিন্তু উঠছে।
এ ঘটনার পর জয়পুর পুলিশ টুইটারে লিখেছে, বুমরাকে অপমান করা তাদের উদ্দেশ্য ছিল না, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল শুধু ট্রাফিক আইন নিয়ে আরও সচেতনতা বাড়াতে। বুমরা, আপনি যুব আইকন এবং আমাদের সবার জন্য প্রেরণা।’ পাকিস্তানের ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃপক্ষ অবশ্য কোনো বক্তব্য দেয়নি এখনো। তবে প্রচারণার উদ্দেশ্য যদি হয় মানুষের মধ্যে বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া, সেটি বেশ ভালোভাবেই হয়েছে। তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সূত্র: এনডিটিভি, টুইটার।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন