বুর্কিনি নাকি বিকিনি? সিদ্ধান্ত নেবে হোটেল কর্তৃপক্ষ

যেকোনো দেশের জন্য পর্যটন এক সম্ভাবনাময় শিল্প। এখানে থেকে বিপুল আয় সম্ভব। বিদেশি পর্যটকরা সৈকতে বা বড় বড় হোটেল বা রিসোর্টে ভিড় করেন। আর সেখানে বিদেশিনীরা বিকিনি পরে সূর্য স্নান করছেন বা ঘুরছেন- এ দৃশ্য হরহামেশাই দেখা যায়। কিন্তু মুসলিম নারীদের জন্য এ পোশাককে সমর্থন করে না ইসলাম ধর্ম। তাই তাদের জন্য বানানো হয়েছে ‘বুর্কিনি’। মিশরে এই বিকিনি আর বুর্কিনি নিয়ে বেশ ঝামেলাতেই পড়েছে সরকার।

মিশন এমন এক দেশ যেখানে পর্যটন অন্যতম শক্তিশালী খাত। সেখানে বিভিন্ন হোটেল ও রিসোর্টে বিদেশিনীরা এসে বিকিনি পরেন। আবার মিশরীয় নারীরাও সেখানে বুর্কিনি পরে সময় কাটাতে যান। কিন্তু অনেকখানেই বুর্কিনি নিষিদ্ধের নির্দেশ দেয় মিশরের মিনিস্ট্রি অব ট্যুরিজম।

এ নিয়ে বহু তর্ক-বিতর্কের পর আবারো সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে সরকার। এখন বলা হচ্ছে, বিকিনি বা বুর্কিনি থাকবে, নাকি নিষিদ্ধ হবে তার সিদ্ধান্ত হোটেল বা রিসোর্টগুলোই নেবে।

এমনটাই চাইছিল হোটেল ব্যবসায়ীরা। রেড সি হোটেল ফ্যাসিলিটিসের হেড অব চেম্বার আলী আল-হালাওয়ানি জানান, প্রথম সিদ্ধান্ত নেওয়ারই দরকার ছিল না। কারণ, একেক মৌসুমে একের ধরনের পর্যটন আসেন। একের দেশের মানুষ একেক পোশাক পরেন। আসলে মৌসুম ও পর্যটকদের ভিড় বুঝে আমরাই ঠিক করতে পারি কখন কোনটাকে নিষিদ্ধ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, পর্যটন এক স্পর্শকাতর খাত। তাই এখানে যেকোনো সিদ্ধান্ত চাপানোর আগে সূক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ করে নিতে হবে।

পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একটি অংশ ঈজিপশিয়ান হোটেল অ্যাসোসিয়েশন। তারা জানায়, সম্প্রতি মিশরীয় নারীদের কাছ থেকে বেশ কিছু অভিযোগ পায় মিনিস্ট্রি অব ট্যুরিজম। সেখানে তারা অভিযোগ করেন, বুর্কিনি পরে তাদের বেশ কয়েক জায়গার পুলে নামতে দেওয়া হয়নি। এ ধরনের অভিযোগ পাওয়ার পরই বেশ কিছু হোটেল ও রিসোর্টে বুর্কিনি ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা হয়েছে। প্রথম সিদ্ধান্তের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই সরকার সেখান থেকে সরে আসে।

সূত্র : ঈজিপশিয়ার স্ট্রিট