বেনাপোল ইমিগ্রেশন কাস্টমসে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগে ২ কর্মকর্তা প্রত্যাহার
যশোরের বেনাপোল ইমিগ্রেশন কাস্টমসে আমদানী যোগ্য মালামাল পাসপোর্টপোর্ট যাত্রীর মাধ্যমে ঘুষ বাণিজ্য করে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে ২ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ২ কাস্টমস কর্মকর্তাকে চেকপোস্ট কাস্টমস তল্লাশী কেন্দ্র থেকে প্রত্যহার করে কাস্টস হাউজে নেওয়া হয়েছে। প্রত্যহারকৃতরা হলেন, কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শামিম হোসেন ও আমিনুর রহমান।
জানা যায়, সরকারের শুল্ক ফাঁকি দিতে এক ধরনের ব্যবসায়ীরা আমদানি যোগ্য বিভিন্ন প্রকার কসমেটিক ও খাদ্য দ্রব্য ভারতীয় পণ্য পাসপোর্ট যাত্রীর মাধ্যমে কাস্টমসকে ম্যানেজ করে নিয়ে আসেন। এসব যাত্রীরা প্রতিদিন কয়েক মে. টন ওজনের বিভিন্ন পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। পরে সন্ধ্যায় আবার ফিরে যায়। তবে কাস্টমস ঘুষ বাণিজ্য করে এসব পণ্য ছাড়লেও সীমান্তে নিয়েজিত বিজিবি সদস্যরা পন্যেও সাথে বৈধ কাগজ পত্র না থাকায় আটক করছে। এনিয়ে দুই সংস্থ্যার মধ্যে মাঝে মধ্যে বিরোধ দেখা যায়। এমন কর্মকান্ড এড়াতে কাস্টমসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নেয় আমদানি যোগ্য কোন পণ্য পাসপোর্ট যাত্রী সাথে বহন করতে পারবেন না। পরে ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়টি অনুসন্ধ্যান করে সংশ্লিষ্ট ২ কর্মকর্তাকে বেনাপোল কাস্টমস হাউজে বদলী করেন কতৃপক্ষ।
ঘনিষ্ঠ সুত্রে জানা যায়, প্রতিদিন ভারতীয় ল্যাগেজ পার্টি পণ্য নিয়ে ওপারে থাকে। পরে এ পাশে কিছু স্থানীয় অসৎ ব্যাবসায়ীরা লেবারদের সাথে যোগসাজোশ করে সকালে না হলে দুপুরে বা সন্ধার পর সুযোগ বোঝে মোটা অংঙ্কের টাকার বিনিময়ে কাস্টমসকে ম্যানেজ করে তাদের কে ভারতীয় পণ্য শুল্ক বাদে আনার কাজ করে থাকে। সন্ধার পর কাস্টমসের কিছু সিপাহী এ ল্যাগেজ পার্টিদের কাছ থেকে ঘুষের টাকা নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করে। যদি কাস্টমস উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা এসব ঘুষ বাণিজ্য বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ না নেয় তাহলে সরকার অনেক রাজস্ব হারাবে। সে দিকে কতৃপক্ষকে সুনিদিষ্ট নজরদারি করার জোর দাবী জানান।
এব্যাপারে চেকপোস্ট কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা আলমগীর কবির জানান, ভারতীয় বেশ কয়েক জন পাসপোর্ট যাত্রী ব্যাগেজ সুবিধা ব্যতিত্ব অতিরিক্ত মাল নিয়ে আসলে কাস্টমস কর্মকর্তার জব্দ করে। তবে এই ঘটনায় হঠাৎ করেই বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন কাস্টমস তল্লাশি কেন্দ্রে কর্মরত ২ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাকে বেনাপোল কাস্টমস হাউজে প্রত্যহার করা হয়েছে। তবে এটা স্বাভাবিক বদলি বা স্বাস্তি যোগ্য বদলি সে বিষয়ে সঠিক তথ্য বলতে পারেন নাই।
এদিকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন কাস্টমসে নিয়োজিত রাজস্ব কর্মকর্তা আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে ব্যপক ঘুষ বাণিজ্যের উন্যতম সহযোগী রাজস্ব কর্মকর্তা রয়েছে ধরা ছোওয়ার বাইরে। কতৃপক্ষ কোনো শাস্তি মূলক পদক্ষেপ না নিয়ে পূনরায় একই স্থানে কি ভাবে বহল থাকে বলে প্রশ্ন উঠছে জনমনে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন