বেরিয়ে আসছে টিম ইন্ডিয়ার অন্দরমহলের খবর
কোচ হিসেবে অনিল কুম্বলেকে পছন্দ করেন না তিনি। এটা বোর্ডকে আগেই জানিয়েছিলেন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক বিরাট কোহলি। আর সেই কারণেই মেয়াদ বাড়লেও কোচের পদে আর থাকতে রাজি নন কুম্বলে। এটা আগের দিনের ঘটনা। এবার জানা গেল কোচের সঙ্গে অধিনায়ক বিরাট কোহলির সম্পর্ক সম্প্রতি খারাপ হয়নি। গত ৬ মাস ধরেই তাঁদের বাক্যালাপ বন্ধ ছিল।
এবিপি আনন্দের খবর, গত বছরের ডিসেম্বরে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের টেস্ট সিরিজ শেষ হওয়ার পর থেকেই একে অপরের সঙ্গে কথা বলেননি বিরাট ও কুম্বলে। এই খবর জানতে পেরে বিসিসিআই কর্তারাও হতবাক। আরও জানা গেছে, শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলি ও ভিভিএস লক্ষ্মণকে নিয়ে গঠিত ক্রিকেট অ্যাডভাইজারি কমিটি (সিএসি)ও ভারতের প্রধান কোচের পদে কুম্বলের মেয়াদ সহজে বাড়াতে রাজি হয়নি। ফলে একটা বিষয় স্পষ্ট, কুম্বলেকে নিয়ে ভারতীয় দলে সমস্যা নতুন নয়।
লন্ডনে হাজির থাকা এক বিসিসিআই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘সিএসি কুম্বলের মেয়াদ বাড়াতে রাজি হয়েছিল বলে খবর পাওয়া গিয়েছিল। তবে শর্তসাপেক্ষে মেয়াদ বাড়াতে রাজি হয়েছিল সিএসি। বলা হয়েছিল, সব সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার পরেই কুম্বলের মেয়াদ বাড়ানো উচিত। ’
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল শেষ হওয়ার পর ভারতীয় দলের হোটেলে তিনটি পৃথক বৈঠক হয়। প্রথমে বিসিসিআই-এর শীর্ষকর্তা এবং সিএসি-র সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন কুম্বলে। পরে তাঁদের সঙ্গে বিরাট কোহলির বৈঠক হয়। এরপর হয় সবচেয়ে ঘটনাবহুল বৈঠক। বিরাট কোহলি ও কুম্বলেকে মুখোমুখি বসানো হয়। কিন্তু সেই বৈঠক ব্যর্থ হয়। দু’জনেই স্বীকার করেন, তাঁদের পক্ষে একসঙ্গে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। কুম্বলে অবশ্য একান্তে বলেন, বিরাটকে নিয়ে তাঁর কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু তাঁর কাজ নিয়ে বিরাট কোহলি খুশি নন।
বিসিসিআই সূত্রে আরও জানা গেছে, ভারতীয় দলের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে কোচ হিসেবে কুম্বলেরই যাওয়ার কথা ছিল। তাঁর জন্য বার্বাডোজের বিমানের টিকিটও কাটা হয়ে গিয়েছিল। এমনকী, কুম্বলের স্ত্রীরও ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিরাটের সঙ্গে কুম্বলের সম্পর্ক ঠিক হওয়ার কোনো সম্ভাবনা ছিল না। সেই কারণেই তিনি কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ান।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন