বৈরী আবহাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ
আপনজনদের সঙ্গে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবি মানুষ। ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে বাড়তে থাকে কর্মজীবী মানুষের চাপ। গত কয়েকদিনের তুলনায় চাপ কিছুটা কমলেও এখনো গন্তব্যে ছুটছেন অনেকেই।
অপরদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় ‘অশনির’ কারণে সমুদ্রবন্দর গুলোতে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি ও নদীবন্দরে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এরই মধ্যে সোমবার (৯ মে) সকাল থেকেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কখনো মাঝারি, কখনো গুঁড়িগুঁড়ি আবার কখনো মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে আজ পদ্মাও কিছুটা উত্তাল। এমন অবস্থায় নৌযান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ। এরপরও লঞ্চ বা ফেরি কিংবা স্পিডবোটে গন্তব্যে ছুটছেন মানুষ। তবে এ নিয়ে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কর্মকর্তাদের।
যাত্রীরা জানান, ঈদের ছুটি শেষ। এখন যেভাবেই হোক কর্মস্থলে ফিরতে হবে। তাই বৈরী আবহাওয়ায় ঝুঁকি জেনেও বাধ্য হয়ে নৌযানে চলতে হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএর বাংলাবাজার লঞ্চঘাটের ইনস্পেক্টর আক্তার হোসেন বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে লঞ্চে কম সংখ্যক যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। বেশি দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া শুরু হলেই লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোনোভাবেই লঞ্চ চলাচল করতে দেওয়া হবে না।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাউদ্দিন বলেন, চাপ অনেকটাই কমে গেছে। ফেরিঘাটে আগের মতো যানবাহনও নেই। তবে যাত্রী আর পরিবহনের কথা চিন্তা করে গত দুদিন ধরে ঘাটে ডাম্ব ফেরি রায়পুরা যোগ করা হয়েছে। গত রাতের মধ্যেই ঘাটে আটকে পড়া অন্য যানবাহন পার করতে সক্ষম হয়েছি। এখন ঘাট অনেকটাই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে।