ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষার্থী ও জবি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আকিব বিন বারীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বুধবার (১৮ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ,তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিঞ্জপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২২ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ফার্মেসি বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আকিব বিন বারীকে (আইডি-বি ১৩০৬০৬০২০) সাময়িক বহিস্কার করে এবং তাকে স্থায়ীভাবে কেন বহিস্কার করা হবে না তার লিখিত জবাব দেয়ার নির্দেশ দেয়। আকিব বিন বারী ২৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত জবাব দেয়। কিন্তু আকিব বিন বারীর লিখিত জবাব বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হয়নি। বরং এতে ভর্তি জালিয়াতিতে তার সম্পৃক্ততার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।

যা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সুলভ আচারণ নয় এবং শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও গুরুতর শাস্তিযোগ্য অপরাধ।এর পরিপ্রেক্ষিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৫-এর ১১(১০) ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সিন্ডিকেটের অনুমোদন সাপেক্ষে আকিব বিন বারীকে ১৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করে।

জানা গেছে, গত ১১ মার্চ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিয়ে ভর্তি হওয়ার অভিযোগে দুই শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তিতে ভর্তি জালিয়াতিতে জবি শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আকিব বিন নাম উঠে আসে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ১২ মার্চ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ আকিব বিন বারীকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করে।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে ১৭ জনকে আটক করা হয়। এ সময় আকিব বিন বারিও আটক হন।