ভারতসহ ১১ দেশ থেকে বাংলাদেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে ১১ দেশ থেকে বাংলাদেশে যাত্রী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আগামী শুক্রবার (৪ জুন) থেকে এ বিধিনিষেধ কার্যকর হবে।
নিষেধাজ্ঞা দেয়া দেশগুলো হচ্ছে- আর্জেন্টিনা, বাহরাইন, বলিভিয়া, ব্রাজিল, ভারত, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, প্যারাগুয়ে, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো ও উরুগুয়ে।
মঙ্গলবার (১ জুন) বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সদস্য ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ ক্যাপ্টেন চৌধুরী এম জিয়া উল কবির স্বাক্ষরিত এক সার্কুলারে এ বিধিনিষেধ জারি হয়।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, নতুন নির্দেশনা মোতাবেক ‘গ্রুপ এ’র আওতাধীন উপরোক্ত ১১টি দেশ থেকে যাত্রা শুরু করে কেউ সরাসরি বা অন্য কোনো দেশে ট্রানজিট নিয়ে বাংলাদেশে আসতে পারবেন না। বাংলাদেশ থেকেও কেউ ওই দেশগুলোতে যেতে পারবেন না।
তবে প্রবাসী বাংলাদেশি বা বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে যারা গত ১৫ দিনের মধ্যে ওই ১১টি দেশের কোনো দেশে ভিজিটে গিয়েছেন, তারা সরকারের বিশেষ অনুমতি প্রাপ্তি সাপেক্ষে বাংলাদেশে ফিরতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশে পৌঁছানোর পর তাদেরকে সরকার অনুমোদিত কোনো হোটেলে নিজ খরচে বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে এয়ার বাবল চুক্তির আওতায় যাত্রীবাহী ফ্লাইট পরিচালনা কার্যক্রম আগের আদেশের ধারাবাহিকতায় পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকছে।
এছাড়া ‘গ্রুপ বি’র আওতাধীন রয়েছে আটটি দেশ। সেগুলো হলো- বেলজিয়াম, চিলি, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, ডেনমার্ক, গ্রিস, কুয়েত এবং ওমান।
এর মধ্যে কুয়েত ও ওমান থেকে আসা যাত্রীদের বাংলাদেশে পৌঁছানোর পর সরকার নির্ধারিত হোটেলে নিজ খরচে তিন দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এসব দেশ থেকে যাত্রা শুরুর আগেই হোটেল বুকিং দিয়ে আসতে হবে এবং চেক-ইনের সময় যাত্রীকে এয়ারলাইন্স কর্মকর্তাদের কাছে হোটেল বুকিংয়ের প্রমাণপত্র দেখাতে হবে। তিন দিনের হোটেল কোয়ারেন্টাইন শেষে তাদের কোভিড টেস্ট করানো হবে। ফলাফল নেগেটিভ হলে তারা পরবর্তী ১১দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন।
‘গ্রুপ বি’তে থাকা বাকি ছয় দেশ- ডেনমার্ক, গ্রিস, বেলজিয়াম, চিলি, কলম্বিয়া ও কোস্টারিকা থেকে বাংলাদেশে আসা যাত্রীদের ঢাকায় পৌঁছার পর বাধ্যতামূলকভাবে নিজ খরচে ১৪ দিন সরকার নির্ধারিত হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এছাড়া হোটেল বুকিংয়ের প্রমাণপত্র চেক-ইনের সময় দেখাতে হবে।
গ্রুপ ‘এ ও বি’তে যেসব দেশ নেই তারা ‘গ্রুপ সি’-এর অন্তর্ভুক্ত। এসব দেশ থেকে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশে আসা যাত্রীরা ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন, যদি দেশে আসার পর তাদের শরীরে কোভিডের কোনো লক্ষণ দেখা না যায়।
‘গ্রুপ সি’ ভুক্ত দেশগুলো থেকে যাত্রা শুরু করে ‘গ্রুপ এ’ ও ‘গ্রুপ বি’-তে বর্ণিত দেশগুলোতে ট্রানজিট নিয়ে বাংলাদেশে আসা যাবে। তবে ট্রানজিটকালে বিমানবন্দরের বাইরে যাওয়া যাবে না।
‘গ্রুপ বি’ ও ‘গ্রুপ সি’-এর অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোতে যেতে বাংলাদেশ সরকারের কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে বিদেশযাত্রার জন্য বিমানবন্দরে আসতে হলে আকাশযাত্রার নির্ধারিত সময় শুরুর ৭২ ঘণ্টা বা তার কম সময় বাকি থাকতে পিসিআর টেস্ট করিয়ে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে আসতে হবে। অবশ্য যাত্রী যে দেশে যাচ্ছেন বা যে দেশে ট্রানজিট করছেন, সে দেশ বা দেশগুলোর কোভিড পরীক্ষা সংক্রান্ত চাহিদা আরও কঠোর হতে পারে।
সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, ‘গ্রুপ বি ও সি’ এবং বিশেষ অনুমতি প্রাপ্তি সাপেক্ষে ‘গ্রুপ এ’-এর অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো থেকে যারা আসার সুযোগ পাবেন, তাদের সবাইকেই (১০ বছরের কম বয়সী শিশু ব্যতীত) আকাশযাত্রা শুরুর ৭২ ঘণ্টা বা তারও কম সময় বাকি থাকতে নমুনা দিয়ে পিসিআর করিয়ে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে ফ্লাইটে উঠতে হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন