ভারতের সাবেক অর্থমন্ত্রী যশবন্ত বিজেপি ছেড়ে যোগ দিলেন তৃণমূলে

পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন বিধান সভা নির্বাচন গোটা ভারতের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করছে।

ভাঙা-গড়ার খেলা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোতে। সেলিব্রেটি ও প্রভাবশালীরা দল বদলে নাম লেখাচ্ছেন।

এবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন ভারতের সাবেক অর্থমন্ত্রী যশোবন্ত সিনহা। বাজপেয়ী সরকারের প্রভাবশালী এই মন্ত্রী বিজেপি ছেড়ে হঠাৎ মমতার বন্দোপাধ্যায়ের দলে যোগ দেওয়ায় রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

খবর এনডিটিভি ও আনন্দবাজারের।

শক্তিমান অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা হচ্ছে রাজপেয়ী সরকারের অর্থমন্ত্রীর দলবদলকে।

শনিবার তৃণমূল ভবনে সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডেরেক ওব্রায়েন যশোবন্তকে দলে স্বাগত জানান।

সুব্রত জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যশবন্তকে দলে স্বাগত জানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অসুস্থতার জন্য আসতে পারেননি তিনি। তৃণমূলে যোগ দিয়ে যশবন্ত তৃণমূলকে আরও শক্তিশালী করলেন।

বিজেপি ছাড়ার তিন বছরের মাথায় তৃণমূলে যোগ দিলেন যশাবন্ত। ৮৩ বছর বয়স্ক এই নেতা ২০১৮ সালে বিজেপি ছাড়েন।

১৯৮৪ সালে জনতা দলের হাত ধরে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেওয়া যশবন্ত বরাবরই বিজেপি সমর্থক ছিলেন। কেন্দ্রীয় অর্থ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও সামলেছেন। কিন্তু ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ লাইমলাইটে আসলে বিজেপির সঙ্গে তার গাঁটছড়া আলগা হতে শুরু করে।

মোদি-অমিত শাহের হাতে বিজেপির চিন্তা-ভাবনা গণতন্ত্র বিরোধী হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে একাধিকবার অভিযোগ করেন যশোবন্ত। মোদি-অমিত শাহের হাতে পড়ে বিজেপি দুই-ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে বলেও অভিযোগ করেন এই নেতা। শেষ পর্যন্ত ২০১৮ সালে বিজেপি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি।

যশোবন্ত ১৯৯০ সালে ভারতের অর্থমন্ত্রী হন। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী চন্দ্র শেখরের অধীনে বছর দুই মন্ত্রিত্ব করেন। পরে বাজপেয়ী সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৯৮ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত দ্বিতীয় মেয়াদে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তিনি ১৯৬০ সালে ভারতীয় সিভিল সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন। সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিয়ে ১৯৮৪ সালে রাজনীতিতে যোগ দেন।