ভারতে কিশোরীকে ধর্ষণের পর চোখ তুলে ও জিভ কেটে হত্যা!
ভারতের উত্তরপ্রদেশে ১৩ বছরের এক দলিত কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে লখনৌ থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে নেপাল সীমান্তের কাছে লখিমপুর খীরী জেলার পকরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণের পর তাদের মেয়েকে চোখ তুলে ও জিভ কেটে হত্যা করেছে ধর্ষণকারীরা। তবে এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।
এনডিটিভি জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে পকরিয়া গ্রামের একটি আখ ক্ষেত থেকে মেয়েটির রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। ধর্ষণের পর তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
তবে নিহত কিশোরীর বাবা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, তার মেয়েকে ধর্ষণের পর গলায় ওড়না বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ধর্ষণকারীরা তার চোখ তুলে ফেলেছে এবং জিভ কেটে নিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার বিকাল থেকে নিখোঁজ ছিল ওই কিশোরী। সন্ধ্যার পরও সে বাড়ি না ফেরায় তাকে খোঁজা শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। পরে রাতে একটি আখের খেতের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ যে দুজনকে গ্রেফতার করেছে, তাদের মধ্যে একজনের জমি থেকেই মেয়েটির লাশ উদ্ধার হয় বলে জানা গেছে।
তবে নিহত কিশোরীর চোখ তুলে ফেলা এবং জিভ কেটে নেয়ার দাবি অস্বীকার করেছে পুলিশ।
লখিমপুর খীরীর পুলিশ প্রধান বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণের কথা নিশ্চিত করা হয়েছে। চোখ তুলে ফেলা এবং জিভ কেটে নেয়ার কথা উল্লেখ নেই। এ ঘটনায় ওই গ্রামেরই দুই বাসিন্দাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, খুন এবং জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে গত সপ্তাহে উত্তরপ্রদেশের হাপুরে ছয় বছরের এক শিশুকে অপহরণের পর ধর্ষণ করা হয়। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন