ভারতে মানুষ বলিদানের অভিযোগে গ্রেপ্তার তিন

ভারতের কেরালা রাজ্যে মানুষ বলিদানের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) পাথানমথিট্টা জেলা থেকে বলিদানের শিকার দুই নারীর দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়। তাদেরকে কয়েক মাসের ব্যবধানে হত্যা করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে ভগভল সিং নামে এক আয়ুর্বেদিক ‘নিরাময়কারী’, তার স্ত্রী লায়লা ও শফি নামে এক ‘অতিপ্রাকৃত চর্চাকারী’ রয়েছেন। তারা পদ্মম (৫৭) ও রোজিলি (৪৯) নামে দুই নারীকে নির্মম নির্যাতনের পর হত্যা করেন।

অভিযুক্তরা তাদের অপরাধ স্বীকার করেছেন জানিয়ে পুলিশ বলেছে, এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। তবে অভিযুক্তরা পুলিশ হেফাজতে থাকায় এ ব্যাপারে তাদের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

নিহত পদ্মম বেশ কিছুদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। তার পরিবারের সদস্যরা পুলিশে অভিযোগ করলে পুলিশ তার ফোন ট্র্যাক করে শফিকে খুঁজে বের করে।

পরে তার ফোনের কল রেকর্ড থেকে ভগবত সিংয়ের হদিস পাওয়া যায়। ভগবত সিংকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি তার স্ত্রী ও শফির সাথে মিলে পদ্মম ও রোজিলিকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।

বুধবার (১২ অক্টোবর) কোচির একটি আদালত গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের তিন সপ্তাহের জন্য আদালত হেফাজতে পাঠিয়েছে।

ভারতের অন্যতম প্রগতিশীল রাজ্য হিসেবে পরিচিত কেরালায় এমন বীভৎস ঘটনা মানুষকে যারপরনাই বিস্মিত করেছে।

কোচির পুলিশ কমিশনার সিএইচ নাগারাজু জানান, চার মাসের ব্যবধানে হত্যাকাণ্ড দুটি সংঘটিত হয়। ‘আর্থিক লাভের’ জন্য আচার-অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে এ কাজ করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ভারতের কিছু কিছু অঞ্চলে এখনও ‘কালোজাদু’ চর্চা করা হয়। এ ধরনের চর্চা সমৃদ্ধি আনতে, বন্ধ্যা নারীদের সন্তান ধারণ করতে, রোগ নিরাময় করতে বা এমনকি বেশি বৃষ্টিপাত ঘটাতে সহায়তা করে বলে অনেকে বিশ্বাস করেন।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা টাকার লোভ দেখিয়ে ভুক্তভোগী দুই নারীকে ফাঁদে ফেলে শিরশ্ছেদ করেন ও তাদের শরীর টুকরা টুকরা করে ফেলেন।