ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ৮ কি.মি. ‘অপরাধমুক্ত’ ঘোষণা
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ৮ দশমিক ৩ কিলোমিটার এলাকা ‘ক্রাইম ফ্রি জোন’ বা অপরাধমুক্ত এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে।
শুক্রবার বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষীবাহিনী-বিজিবি ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ এ ঘোষণা দেয়।
এ জন্য দুপুরে যশোরের শার্শা সীমান্তের বিপরীতে ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বনগাঁও সীমান্তে ৬৪ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কাল্যাণী বিওপির আওতাধীন সীমান্ত এলাকায় এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে যশোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন, বিএসএফের মহাপরিচালক শ্রী কে কে শর্মাসহ দুই দেশের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিতি ছিলেন।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মহসিন রেজা জানান, ২০১৭ সালের অক্টোবরে ভারতের নয়াদিল্লিতে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে সীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধের কৌশল হিসেবে ‘ক্রাইম ফ্রি জোন’ ঘোষণার প্রস্তাব তোলেন বিজিবি মহাপরিচালক।
মহসিন রেজা জানান, বিএসএফ মহাপরিচালক ওই প্রস্তাবে সমর্থন দেন এবং বাংলাদেশের যশোর সীমান্তের পুটখালী ও দৌলতপুর বিওপির আওতাধীন সীমান্ত এবং বিপরীত দিকে ভারতের কাল্যাণী ও গুনারমঠ বিওপির আওতাধীন এলাকার ৮ দশমিক ৩ কিলোমিটার সীমান্ত পরীক্ষামূলকভাবে ‘ক্রাইম ফ্রি জোন’ ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়।
সীমান্তের এ এলাকার মধ্যে চোরাচালান, নারী ও শিশুপাচার, মানবপাচার, মাদক, অস্ত্র ও বিস্ফোরক পাচারের মতো কোনো আন্তঃসীমান্ত অপরাধ বা কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড না হওয়ার বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি করবে বিজিবি ও বিএসএফ।
এর অংশ হিসেবে ওই সীমান্তের বাংলাদেশ অংশে অপরাধ বন্ধে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা, সার্চলাইট, থার্মাল ইমেজারসহ বিভিন্ন নজরদারি প্রযুক্তি স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া সীমান্তে অপরাধ প্রতিরোধে স্থানীয় জনগণকে সচেতন করার উদ্যোগে নেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চার হাজার ১৫৬ কিলোমিটার রয়েছে উল্লেখ করে মহসিন রেজা জানান, পর্যায়ক্রমে সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা অপরাধমুক্ত ঘোষণা করতে বিজিবি ও বিএসএফ সমন্বিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন