‘ভিতরে ভিতরে আমি মরে যেতে চাইতাম’
মূলত তনুশ্রী দত্তের হাত ধরেই MeToo আন্দোলনের শুরুট হয়েছিল। এরপর একে একে আসতে থাকে অজস্র অপ্রত্যাশিত ও ভয়াবহ যৌন হেনস্থার ঘটনা। নাম জড়িয়েছে বড় বড় ব্যক্তিত্বেরও।
কিন্তু এতেও খুশি নন তনুশ্রী। তিনি বলেন, ‘এই দেশের সচেতনতা দেখে আমি হতাশ।’
ভারতের নৈতিক সচেতনতার বেহাল অবস্থা দেখে আশ্চর্য হয়ে গেছেন তনুশ্রী। প্রতি মুহূর্তে লোকজন জাজ করছেন তাকে। তিনি বলছেন, ‘২০০৮ সালে ওই ঘটনার পর আমি মানসিক অবসাদে চলে গেছিলাম। যদিও হাসিমুখে আমি অন্য প্রজেক্টগুলো শেষ করেছিলাম, কিন্তু ভিতরে ভিতরে আমি মরে যেতে চাইতাম।’
ইন্ডিয়া টাইমসের খবরে বলা হয়, নিজের যৌন হেনস্থার কথা সামনে আনার পর থেকেই অনেক তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে তনুশ্রীকে। বিশেষত রাখি সাওয়ান্ত আর গণেশ আচার্য যেরকম অসম্মানজনক মন্তব্য করেছেন, তা খুবই অনভিপ্রেত মনে হয়েছে তনুশ্রীর।
প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘কতগুলো নিষ্পাপ প্রাণ নষ্ট হলে মানুষ একটু মানবিক হবে তাদের প্রতি? অভিযোগ দায়েরের পর আমায় ট্রোল করা হল, আইনি নোটিশ পাঠানো হল। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হল না।’
‘হর্ন ওকে প্লিজ়’ ছবির সেট থেকেই শুরু হয়েছিল এই ঘটনার।
তনুশ্রীর অভিযোগ, ছবিতে একটি গানের দৃশ্যের শুটিংয়ে তাকে অশালীনভাবে ছুঁয়েছিলেন নানা পাটেকর। এরপরই এই ছবি ছেড়ে দেন তনুশ্রী। ১০ বছর পর আমেরিকা থেকে ফিরে এই বিষয়ে মুখ খোলেন তিনি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন