ভূরুঙ্গামারীতে ঝলমলে রোদে স্বস্তি, ধান মাড়াই ও শুকাতে ব্যস্ত কৃষক

উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উজ্জ্বল ঝলমলে রোদে কৃষকের মুখে স্বস্তির হাসি ফুটে ওঠেছে।বোরো ধান কাটা, মাড়াই, সিদ্ধ করা ও শুকাতে ব‍্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক-কৃষাণীরা।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ফসলের মাঠে, বাড়ির আঙ্গিনায়, গ্রামীণ সড়কে এমনকি পিচঢালা আঞ্চলিক সড়কেও কৃষকদের ধান মাড়াই ও শুকাতে দেখা গেছে। স্বপ্নের সোনালী ফসল গোলায় ভরতে দারুণ ব‍্যস্ত তারা।

একাধিক কৃষক জানান, ধান কাটা ও মাড়াই করতে হারভেস্টার মেশিনের চাহিদা বেড়েছে। অপরদিকে শ্রমিকের মজুরিও বেড়েছে দ্বিগুণ।

ধানের দামও বাড়তে শুরু করেছে। বাজারে প্রতি মণ মোটা ধান বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা, চিকন ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়। গত বছর এই সময়ে প্রচণ্ড বৃষ্টি থাকায় জমিতেই কৃষকের ধান পঁচে নষ্ট হয়ে যায়। সেসময় ৪০০ টাকা মণ ধান মিল মালিকদের নিকট বিক্রি করতে অনেক বেগ পেতে হয় কৃষককে।

উপজেলার পশ্চিমছাট গোপালপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল কাদের জানান, সাড়ে চার বিঘা জমিতে ধানচাষ করেছিলাম। ধান কেটে জমিতেই মাড়াই করে তা শুকিয়ে বাড়ি নিয়ে আসছি। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে।

আরেক কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, প্রচণ্ড রোদে কষ্ট হলেও ধান কাটা মাড়ায়ের দুই দিনের মধ্যে ধান ও খড় শুকিয়ে ঘরে তোলা যাচ্ছে। এই ঝলমলে রোদ আমাদের জন‍্য আশির্বাদ হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুজন কুমার ভৌমিক জানান , চলতি মৌসুমে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ১৬ হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ ভাগ ধান কাটা মাড়াই শেষ হয়েছে। এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলনে উৎপাদনের নির্ধারিত লক্ষ‍্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা উপজেলা কৃষি বিভাগের।