ভূরুঙ্গামারীতে সূর্যের দেখা নেই ৩ দিন, কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত জনজীবন
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2024/01/IMG20240110071044-900x450.jpg)
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2025/02/475351977_1256003665483861_2959209934144112011_n.jpg)
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে সূর্যের দেখা নেই ৩ দিন। উত্তরের হিমেল হাওয়ার সাথে ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। দিন রাত সমান শীত অনুভূত হচ্ছে। তাপমাত্রা থাকছে ৯ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। ফলে ঠান্ডায় চরম বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও চরাঞ্চলের ছিন্নমূল মানুষ।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস বলে জানিয়েছে কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া দপ্তর। যা গতকাল ছিলো ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখাগেছে, রাস্তা-ঘাট ও হাটবাজারে লোকসমাগম একেবারে কম। কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে দিন মজুর ও নিম্ন আয়ের কিছু মানুষজন কাজে বের হলেও প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে কষ্টে রয়েছেন তারা। এখন পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি ভাবে যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
বিশেষ করে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় কাহিল হয়েছে পড়েছে নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের মানুষগুলো। শীত ও কনকনে ঠান্ডা কাজে যেতে না পারায় কষ্টে পড়েছে শ্রমজীবিরা। অপর দিকে স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে শীত জনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
পাইকেরছড়া ইউনিয়নের পাইকডাঙ্গা গ্রামের ফরিদুল, জুলহাস ও আমিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের চরে কয়েকদিন থেকে খুব ঠান্ডা। ঘর থেকে বাহির হওয়া যাচ্ছে না। কারণ নদীর পাড়ে সমসময় বাতাস থাকে। বাতাসের কারণে ঠান্ডা বেশি।
অটোরিক্সা চালক আবু তাহের জানান, সকাল থেখে দুপুর ২টা পর্যন্ত ২০০ টাকা ইনকাম হয় নাই। প্রচণ্ড ঠান্ডায় বাজারে মানুষজন কম।
চর-ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ মানিক উদ্দিন বলেন, আমার ইউনিয়নটি নদী বেষ্টিত। এখানে অনেক বেশি ঠান্ডা অনুভূত হয়। এ পর্যন্ত ২৫০ টি কম্বল বরাদ্দ পেয়েছি এবং তা বিতরণ করেছি। এ অবস্থায় সরকারের পাশাপাশি বিত্তবান ব্যক্তি ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনকে শীতবস্ত্র বিতরণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, তাপমাত্রা আরও দুই একদিন এমন থাকবে। পরে একটু উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়াও এ মাসে আরও একটি শৈত্যপ্রবাহ এ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গোলাম ফেরদৌস জানান, উপজেলায় প্রাথমিক পর্যায় ৪ হাজার কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এর কিছু আমি নিজে এবং বাকি গুলো জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে। নতুন করে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। দুই এক দিনের মধ্যে হয়তো আরো ১ হাজার কম্বল পাওয়া যাবে।
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2024/12/469719549_122234398946008134_2936380767280646127_n.jpg)
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন