ভোগান্তির আরেক নাম সাতক্ষীরার কলারোয়া-চন্দনপুর রাস্তা, যেখানে জনদুর্ভোগ নিত্যদিনের সঙ্গী

ভোগান্তির আরেক নাম কলারোয়া থেকে চন্দনপুরমুখী রাস্তা। যেখানে জনদুর্ভোগ নিত্যদিনের সঙ্গী।

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ ও সব ধরনের যানবাহনের ব্যাপক চাপ এই গ্রামীন সড়কটিতে। এই রাস্তায় প্রায় পাঁচটি ইউনিয়নের হাজারো মানুষের পদচারণা প্রতিদিন।

কলারোয়া উপজেলা সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরত্বের চন্দনপুর পর্যন্ত এই রাস্তাটির প্রায় পুরোটা জুড়ে ভোগান্তির যেন শেষ নেই। মাঝের কিছু অংশ বাদে সম্প্রতি দমদম বাজার থেকে চন্দনপুর পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার শুরু হলেও সেখানেও ভোগান্তি, জনদুর্ভোগ ও কষ্ট যেন কিছু ছাড়ছে না। গত বছর ২০২৩ সালে এই ভাঙ্গাচূড়া রাস্তার সংস্কার ও দুই ধার প্রশস্ত করণের কাজ শুরু হয়। একই সাথে রাস্তার দুই ধারে গর্ত তথা নালা তৈরি করে ফেলে রাখা হয় দীর্ঘদিন ধরে। এরপর কিছুদিন কিছু কিছু স্থানে ট্রাক্টর লাঙ্গল দিয়ে রাস্তা চষে রাখা হয়। রোলার দিয়ে সমান করা হয়নি সবখানে।

রাস্তা সংলগ্ন পুকুর বা জলাশয়ের ধার বা পাড় না বেঁধেই ইটের খোয়া দেয়া হচ্ছে যৎসামান্য। অনেক ক্ষেত্রে ইটের খোয়া এতটাই নরম যে সেটা কত নম্বরে ইটের তা স্থানীয়দের বুঝতে বাকি থাকছে না। আবার পুকুর বা জলাশয় সংলগ্ন রাস্তার ধার সংস্কারের আগেই ভেঙে পড়তে দেখা গেছে।

দমদম বাজার থেকে ঝাঁপাঘাট ছাগলের মোড় হয়ে সোনাবাড়িয়া অভিমুখের রাস্তায় গত কয়েক মাস আগে ইটের খোয়া বিছিয়ে দেয়া হলেও রোলার দিয়ে সমান না করে দেয়ায় প্রতিদিন চলাচল করতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন সকল যানবাহন ও পথচারীরা। বাধ্য হয়ে ভ্যান, ইজিবাইক, মহেন্দ্র, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল, নসিমন, করিমন ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহনের যাতায়াতের ফলে সেখানকার বিছিয়ে রাখা ইট-খোয়া অনেকটা সমান হয়ে গেছে আবার অনেকটা উঁচু-নিচুও আছে রোলার ছাড়াই। ফলে ঝাঁকুনিতে মানুষের বুক-পিঠ-পেট ব্যাথা হয়ে পড়ছে।
সোনাবাড়িয়া থেকে নাথপুর মোড় পর্যন্ত রাস্তার অবস্থাও প্রায় একই।
বয়ারডাঙ্গা থেকে চন্দনপুর পর্যন্ত কয়েকটি স্থানে রাস্তা সংলগ্ন পুকুর-জলাশয়ের ধার না বাধাই সেখানকার রাস্তার অংশ সংস্কার শুরু না হতেই ধ্বসে পড়েছে।

এরূপ অব্যবস্থাপনা, ভোগান্তি, দুর্ভোগ ও কষ্ট লাঘবে সংশ্লিষ্ট কারোর যেন কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। মূল ঠিকাদারকেও পাওয়া যায় না। জন বা কামলা হিসেবে কাজ করা শ্রমিকরাও সঠিক কিছু বলতে পারেন না।
এই ভোগান্তি লাঘবে সংশ্লিষ্টদের অতি দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

অপরদিকে কলারোয়া হাসপাতাল রোডের লোহাকুড়া কানিপাড়া মোড় থেকে দমদম পর্যন্ত রাস্তাও সংস্কারের দাবি করেন তারা।