ভোট উৎসবে যোগ দিতে এখনও গ্রামে ছুটছে মানুষ

কনকনে তীব্র শীত। হিমেল বাতাসে শরীর বারবার শিউরে উঠছে। দুই কন্যা তাসফিয়া, জেরিন আর সহধর্মিণী জামিনা খাতুনকে নিয়ে উঠেছেন ট্রেনের ছাদে। টিকিট নেই, নেই ট্রেনের ভেতরে দাঁড়ানোর ঠাঁই।

বাধ্য হয়ে উঠতে হয়েছে ট্রেনের ছাদে, জানালেন নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের আমির হোসেন (৫২)। তিনি এসেছেন আন্তঃনগর হাওড় এক্সপ্রেসে। ময়মনসিংহের গৌরীপুর রেলওয়ে জংশনে শুক্রবার সকালে এ প্রতিনিধির সঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিবেদিত কর্মী-সমর্থকদের মাঝে এ যেন ভোট উৎসব। ট্রেনের ছাদে কনকনে হাড়কাঁপনো শীতের আপাদমস্তক ঢাকা। এরমাঝেও ‘নৌকা নৌকা, ভায়াদে ভায়াদে, জয়বাংলা’- এমন স্লোগানও ভেসে আসে।

দু-এক স্থানে ‘ধানের শীষ ধানের শীষ’ শোনা গেলেও স্লোগানে জোর ছিল না। আন্তঃনগর হাওড় এক্সপ্রেসটি ঢাকা থেকে রাত ১২টা ২২ মিনিটে মোহনগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। ট্রেনটি গাজীপুর উপজেলার শ্রীপুর এলাকায় এসে ট্রেনের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়।

ট্রেনের যাত্রী আজিজুল হক জানান, এ দুটি বগি কেটে ট্রেনটি আবারও রাত ৪টায় দুর্ঘটনা এলাকা থেকে যাত্রা শুরু করে। এ পরে পুরো ট্রেনটিতে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না।

অপরদিকে ময়মনসিংহের গৌরীপুর রেলওয়ে জংশনে শুক্রবার প্রত্যেকটি ফিরতি ট্রেনে ছিল উপচে পড়া ভিড়।