মওদুদ যাচ্ছেন গুলশানের ফ্ল্যাটে, মালামাল শ্যালিকার বাসায়
আইনি লড়াইয়ে হারার পর দখলকৃত বাড়ি থেকে উচ্ছেদ হবার পর গুলশানের ৯১ নং রোডের ২ নং বাড়িতে নিজের ফ্ল্যাটে যাচ্ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ।
গুলশান-২ নম্বর সেকশনের ১৫৯ নম্বর প্লটের ওই বাড়ি থেকে মওদুদ আহমদের আসবাবপত্র ও মালামাল ৯১ রোডে তার ফ্লাটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া কিছু মালামাল তার স্ত্রী হাছনা মওদুদের বোন আসমা এলাহী চৌধুরীর বাসায়ও রাখা হচ্ছে বলে জানা গেছে। আসমা এলাহী চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক এলাহী চৌধুরীর স্ত্রী।
গুলশানের ওই বাড়িটিতে ১৯৭২ সাল থেকে মওদুদ আহমেদ বসবাস করছিলেন।
‘ভুয়া’ আমমোক্তারনামা তৈরি করে মওদুদের ভাইয়ের নামে ওই বাড়ির দখল নেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে দুদক মামলা করলে চার বছর আগে আইনি লড়াই শুরু হয়।
ওই মামলায় মওদুদ সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত গেলেও রায় তার বিপক্ষে যায়। আপিলের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করলেও গত রোববার তা খারিজ হয়ে যায়।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বুধবার দুপুরের দিকে ওই বাড়ির দখল বুঝে নিতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে।
এর প্রতিক্রিয়ায় ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে, সন্ত্রাসী কায়দায় আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। ৫০ বছরের বেশি সময়ের স্মৃতি বিজড়িত এই বাড়িটির মালামাল সরানোর জন্য আজকের দিনটা সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু সেই সময়টুকুও আমাকে দেওয়া হয়নি।’
এদিকে অবৈধ বাড়ি থেকে মওদুদ আহমদের উচ্ছেদের খবর পেয়ে সেখানে তাকে সমবেদনা জানাতে উপস্থিত হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু ও নির্বাহী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছেলে খন্দকার মারুফ হোসেন।
মওদুদ আহমদ বাড়ির ভেতরে থাকার কারণে তার সঙ্গে বিএনপি নেতাদের দেখা হয়নি। পুলিশ তাদেরকে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করতেও দেয়নি।
কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আইনি ব্যাখ্যা কি তা জানি না। তবে এখানে উনি থাকতেন। এখন এখান থেকে উনাকে জোর করে বের করে দেওয়া হচ্ছে। আমি সহানুভূতি জানাতে এসেছিলাম।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন