মঠবাড়িয়ায় উপজেলা প্রকৌশলীর অবহেলায় এডিপি’র ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা ফেরত
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার উন্নয়নের জন্য ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা ফেরত যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি),ঠিকাদার এবং উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়হীনতার কারনে এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে এজন্য উপজেলা প্রকৌশলী জিয়ারুল ইসলামকে দায়ী করেছেন একাধিক স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।
জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগ, প্রকৌশলী জিয়ারুল ইসলাম সাধারন মানুষদের উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত করে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছেন। সরকারী দিক নির্দেশনা উপেক্ষা করে উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নের পক্ষে থাকা ঠিকাদারদের এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে থানা সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন।
জানা গেছে, এডিপি’র ওই টাকা যাতে বাস্তবায়ন না হতে পারে সেজন্য রহস্যজনক কারন দেখিয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর একজন শুভাকাঙ্ক্ষী উচ্চ আদালতে রিট করেন। মে মাসের ৮ তারিখের ওই রিট পিটিশনের বাদী রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দার। তিনি ৬ নং টিকিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ভেচকি গ্রামের পান্না জমাদ্দারের পুত্র। এরপর মঠবাড়িয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের আপিলের প্রেক্ষিতে চেম্বার জজ পূর্বের আদেশ স্থগিত করেন।এর ফলে এডিপি’র ওই টাকা বাস্তবায়নে আর কোন বাধা ছিল না।
এদিকে উপজেলা প্রকৌশলী জিয়ারুল ইসলাম আপিল আদেশের পূর্বেই টেন্ডার বাতিল করে দেন।একপর্যায়ে উপজেলা পরিষদের বিশেষ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এবং জিয়ারুল ইসলামের পরামর্শক্রমে আরএফকিউ এবং পিইসি পদ্ধতিতে প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।এরপর ঠিকাদারগন সিডিউল ক্রয় করার জন্য উপজেলা প্রকৌশলীর অফিসে যান। কিন্তু প্রকৌশলী নিজের স্বার্থে আরএফকিউ এবং পিইসি পদ্ধতিতে সিডিউল বিক্রি করেন নি।তিনি সরকার দলীয় ঠিকাদারদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন।এরপর তার টার্গেটকৃত ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে ১২ জুন মঠবাড়িয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এমনকি তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নের হোপ উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন আহমেদকে কোন নোটিশ প্রদান করেননি।সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে উপজেলা প্রকৌশলী জিয়ারুল ইসলাম উন্নয়নের এ টাকা ফেরত পাঠিয়েছেন বলে অভিযোগ জনপ্রতিনিধিদের।
এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল কাইয়ুম জানান,প্রথম টেন্ডার বাতিল হওয়ার পর নতুন করে আর টেন্ডার দেওয়া হয় নি। উচ্চ আদালত থেকে আদেশের প্রেক্ষিতে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের এডিপি’র প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে উপজেলা প্রকৌশলীর নিকট সিদ্ধান্ত অগ্রগামী করা হয়েছিল।তবে জানতে পারলাম যে,প্রকল্প বাস্তবায়ন না হয়ে পুরো টাকাই ফেরত পাঠানো হয়েছে।
উন্নয়নের এ টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী জিয়ারুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন দিয়েও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন